ঝাঁপ: মাঝেরহাট সেতু ভঙ্গের পর থেকে এমন ভাবেই চলছে বিপজ্জনক পারাপার। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
মাঝেরহাট উড়ালপুল বিপর্যয়ের পরে পেরিয়েছে ছ’মাসেরও বেশি। অভিযোগ, উড়ালপুল ভাঙার পরবর্তী সময়ে গাড়ি যাতায়াতের জন্য বেইলি ব্রিজ তৈরি হয়ে গেলেও পথচারীদের ভোগান্তি এখনও চলছে। এখনও ভাঙা উড়ালপুলের পাশ দিয়ে পাঁচিল টপকে রেললাইন পেরিয়ে ঝুঁকির যাত্রাও চলছে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, ভেঙে পড়া উড়ালপুল নতুন ভাবে তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এই ভোগান্তি চলবেই।
স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, মাঝেরহাট সেতুর রাস্তার পাশে যে ফুটপাত ছিল সেখান দিয়েই মানুষ আগে যাতায়াত করতেন। উড়ালপুল ভেঙে পড়ায় পরে আর অন্য ধারে যাওয়ার সে ভাবে পথ নেই। নতুন করে মাঝেরহাট উড়ালপুল তৈরির কাজ চলছে। পাশেই চলছে মেট্রো রেলের কাজ। এ জন্য ভেঙে পড়া ব্রিজের পাশেই লোহার খাঁচা রাখা আছে। দেখা গেল, ওই লোহার খাঁচায় উঠে বিপজ্জনক ভাবে যাচ্ছেন যাত্রীরা। কোনও পথচারী যাতে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে না যান, সে জন্য খাঁচার নীচে জালও পাতা রয়েছে। ওই লোহার খাঁচা পেরোলেই শেষ নয়, এর পরে দেওয়াল টপকে রেললাইনে নেমে অন্য পারে যেতে হবে। প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ এ ভাবেই পরাপার করেন।
নিউ আলিপুরের বাসিন্দা অনুভা সরকার বলেন, ‘‘ছেলেকে স্কুলে দেওয়া-নেওয়া করি এ ভাবেই। বেইলি ব্রিজ তো গাড়ি চলাচলের জন্য। এত ঘুরে কী ভাবে যাব? পথচলতি মানুষের কথাও তো ভাবা উচিত ছিল।’’ ওই পথে যাতায়াত করেন বছর সত্তরের বৃদ্ধ অমল ভট্টাচার্য। আলিপুরে দোকান রয়েছে তাঁর। তিনি বলেন, ‘‘বাধ্য হয়ে এই বয়সে দেওয়াল টপকে ও পারে যেতে হয়। এক দিন দেওয়াল টপকাতে গিয়ে পড়েও গিয়েছিলাম।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
নতুন সেতু তৈরি না হওয়া পর্যন্ত পথচারীদের এই ভোগান্তি চলবে বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ ওখানে পথচারীদের জন্য রাস্তা তৈরির উপায় কার্যত নেই। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, ভাঙা সেতুর পাশ দিয়ে পারাপারের রাস্তা তৈরি শুরু হয়েছিল। কিন্তু রেলের আপত্তির জন্য সেই কাজ বন্ধ করে দিতে হয়।
পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শুধু মাঝেরহাট উড়ালপুলই নয়, রেললাইনের উপরে যত উড়ালপুল আছে সে সব কী অবস্থায় রয়েছে, কী ভাবে মানুষ লাইন পারপার করছেন—সম্প্রতি তার উপরে একটি সমীক্ষা হয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy