ফাইল চিত্র।
‘ভোগান্তি কি চলবেই?’— এ বার এই প্রশ্ন তুলছেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগীর পরিজনেরা। দীর্ঘ দিন ধরে চলা পড়ুয়া-চিকিৎসকদের একাংশের বিক্ষোভে যুক্ত হয়েছেন ইন্টার্ন ও পিজিটি-রা। তার জেরেই রোগী পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুজোর ছুটির পরে আজ, সোমবার থেকে পুরোদমে হাসপাতাল শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু বিক্ষোভের জেরে কতটা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব, তা নিয়েই সংশয় রয়েছে। পুজোয় বিক্ষোভ-অনশন ও ইন্টার্ন এবং পিজিটি-র কর্মবিরতির ফলে জরুরি বিভাগ, ট্রমা কেয়ারে পরিষেবা না পেয়ে ফিরে গিয়েছেন রোগীরা। ব্যাহত হয়েছে অন্য বিভাগের পরিষেবাও। ফলে রোগী ভর্তির সংখ্যাও কমেছে।
হস্টেল কমিটি, স্টুডেন্ট কাউন্সিল গঠন, হস্টেলের পরিকাঠামো উন্নয়ন, হাউসস্টাফ নিয়োগে স্বচ্ছতার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছেন পড়ুয়ারা। সম্প্রতি ওই হাসপাতালের পাঁচ চিকিৎসককে নিয়ে একটি মেন্টর কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য দফতর, যাঁরা পড়ুয়াদের কথা শুনে স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তাকে জানাবেন। স্বাস্থ্য ভবন প্রতিটি দাবির সমাধানে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলেও নিজেদের অবস্থানে অনড় পড়ুয়ারা। অধ্যক্ষের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে দাবি করছেন বিক্ষোভকারীরা।
রবিবার ওই পড়ুয়াদের ছয় প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেন মেন্টর কমিটির পাঁচ চিকিৎসক— রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়, রাজ্যসভার সাংসদ তথা ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেন, বিধায়ক অতীন ঘোষ, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি নির্মল মাজি, বিধানসভার উপ-মুখ্য সচেতক তাপস রায়, স্থানীয় ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর তারক সাহা। কিন্তু বৈঠকে কোনও সমাধান মেলেনি। সুদীপ্ত বলেন, ‘‘এই নিয়ে ১০ বার পডুয়াদের সঙ্গে বৈঠকে বসলাম। প্রতি বারই ফিরে গিয়ে ওঁরা অন্য রূপ ধারণ করেন। অধ্যক্ষের সঙ্গে ওঁদের আচরণও গ্রহণযোগ্য নয়।’’
শান্তনু বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের বলেছি, ওঁদের সমস্ত দাবি মেনে সমাধানের লিখিত আশ্বাস দিয়েছে সরকার। তাই বিক্ষোভ-অনশন প্রত্যাহার করুক। এক মাস পরে পুনরায় পর্যালোচনা বৈঠক করা হবে। অধ্যক্ষের সঙ্গেও কথা বলা হবে। কিন্তু বৈঠক থেকে ফিরে অন্য রূপ ওঁদের।’’ তবে প্রবীণ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে অধ্যক্ষকে সরানো হলে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে ভুল বার্তা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy