ঐতিহ্য: আলোকোজ্জ্বল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র
প্রেসিডেন্সির প্রতিষ্ঠা দিবসে ‘অতুলচন্দ্র গুপ্ত বিশিষ্ট প্রাক্তনী’ সম্মান পেলেন সমাজবিজ্ঞানী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৎকালীন প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র পার্থবাবু প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্সির প্রেক্ষিতে ‘মেধা ও সমাজ’ শীর্ষক বক্তৃতা দেন। সেখানে তিনি মেধা, উৎকর্ষ এবং সমাজের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেন। বক্তৃতায় ইংরেজি এবং বাংলা মাধ্যমের বিভাজনের সঙ্গে রাজ্য বোর্ড ও সর্বভারতীয় বোর্ডের বিভাজনের কথাও তোলেন পার্থবাবু। জানান, কলকাতায় এখন এলিট কলেজ বলে কিছু নেই। সর্বভারতীয় মাধ্যমের মেধাবী পড়ুয়ারা স্নাতক স্তরে পঠনপাঠনের জন্য দিল্লি অথবা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাচ্ছেন। যাঁদের আর্থিক সঙ্গতি আছে, তাঁরা কলেজে পড়তেই বিদেশে চলে যাচ্ছেন। পার্থবাবু বলেন, ‘‘বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি ও ভাবাদর্শের দিকে তাকালে মনে হয়, এই প্রবণতা আরও বাড়বে।’’
হিন্দু কলেজের প্রথম দিকে, যখন শুধু হিন্দু ছাত্রেরা এই কলেজে লেখাপড়া করতেন, সেখান থেকে শুরু করে ৬০-এর দশকে বাম ছাত্র আন্দোলনে প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের যোগদান পর্যন্ত এ দিন ব্যাখ্যা করেন পার্থবাবু। ‘এলিট’ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদকে ছাপরা থেকে এসে পড়ুয়াদের বিস্মিত দৃষ্টির সামনে পড়তে হয়েছিল। আবার, মেঘনাদ সাহাকে হিন্দু হস্টেলে উচ্চবর্ণের ছাত্রদের থেকে আলাদা বসে খেতে হত। এমন বেশ কিছু ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন এই প্রথিতযশা সমাজবিজ্ঞানী।
প্রতিষ্ঠা দিবসের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া অতিমারির এই পরিস্থিতিতে দেশের মধ্যে একমাত্র এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত বর্ষের ফল প্রকাশ করেছিল, তার উল্লেখ করেন। তিনি জানান, বিষয়টি ইউজিসি গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করেছে। প্রাক্তনী সংসদের সহ-সভাপতি বিভাস চৌধুরী জানান, ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠান দেশ-বিদেশের সব প্রাক্তনী দেখার সুযোগ পেলেন। ভবিষ্যতে তাঁরা প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠান করলেও তা ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেখানোর ব্যবস্থা করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy