ফিরহাদ হাকিম।—ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুরসভায় এক জন ডিজি-র হাতে একাধিক দফতর রাখতে নারাজ তিনি। মঙ্গলবার তা খোলসা করে দিলেন শহরের নতুন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই পুর প্রশাসনের শীর্ষে বসেছেন ফিরহাদ। এ দিন দুপুর একটা নাগাদ পুরভবনে এসেই তিনি দফায় দফায় বৈঠক করেছেন পুরকর্তাদের সঙ্গে। ওই সব আলোচনার সূত্রেই তিনি জানতে পারেন, পুরসভায় একাধিক দফতরের মাথায় এক জন ডিজি থাকার বিষয়টি। তৎক্ষণাৎ তিনি নির্দেশ দেন, একটি দফতরের মাথায় এক জন ডিজি-ই থাকবেন। তার পরেই পুরসভার পার্ক ও উদ্যান এবং বিল্ডিং দফতরের ডিজি (২) দেবাশিস চক্রবর্তীকে বিল্ডিং দফতর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর হাতে রাখা হয় শুধু পার্ক ও উদ্যান।
এক জন ইঞ্জিনিয়ারের হাতে দু’টি দফতর থাকার নজির অনেক দিন ধরেই রয়েছে পুরসভায়। তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা অভিযোগও উঠেছে। তবে প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় তা নিয়ে কখনও আপত্তি করেননি। ফিরহাদ অবশ্য প্রথম দিনেই সেই প্রথা বদলে দিলেন। তিনি বলেন, ‘‘কাজের সুবিধার জন্যই এটা করা হচ্ছে।’’ পাশাপাশি, শহরে পুর পরিষেবায় কোনও ঘাটতি থাকলে সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বে থাকা অফিসার বা ইঞ্জিনিয়ারকেই তার দায় নিতে হবে বলে স্পষ্ট করে দেন মেয়র। তাঁর কথায়, ‘‘কোথাও রাস্তা খারাপ, কোনও জায়গায় আলো জ্বলছে না, কোথাও বা পার্কের বেহাল দশা। এ সবই দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট অফিসার-ইঞ্জিনিয়ারদের। কার দায়, তা-ও রেকর্ড করে রাখতে হবে লগবুকে।’’
মেয়রের এই ফরমানে রীতিমতো শঙ্কিত পুরকর্তারাও। যদিও কেউ কেউ মনে করছেন, দায়বদ্ধতা থাকলে কাজ ভাল হবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও সে কথাই বলে থাকেন। ফিরহাদ আরও জানান, কোনও কাজের দরপত্রে ঠিকাদার অংশ না নিলে তার কারণ জানতে হবে। এর জন্য প্রি-টেন্ডার বৈঠকে জোর দেওয়া হবে। হটমিক্সের সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে তিনি বলেন, ‘‘পরিবেশ সুস্থ রাখার কথা মুখ্যমন্ত্রীও বলেন। তবে কলকাতার রাস্তা তো আর সব সময়ে কোল্ডমিক্স দিয়ে করা যাবে না। হটমিক্স লাগবে।’’ তিনি জানান, চেন্নাই-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে পুরসভার দল পাঠানো হবে। পরিবেশবান্ধব কোনও ব্যবস্থা থাকলে তা এখানেও চালু করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy