Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
TMC

Crime: পোস্তায় খুনের ছক কষেছিল কর্মীই, ধৃত

রবিবার পোস্তার শিবতলা স্ট্রিটের গদিতে গিয়ে খুন হন ষাটোর্ধ্ব দিলীপবাবু।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২২ ০৭:৩৪
Share: Save:

পূর্ব পরিকল্পনা মতো খুনের আগেই ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল মূল অভিযুক্ত। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে মৃতের মোবাইলের কল লিস্টও মুছে দিয়েছিল। তবু শেষরক্ষা হল না। পোস্তায় নিজের গদিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপকুমার গুপ্তের খুনে তাঁর এক কর্মীকে মঙ্গলবার রাতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম অঙ্কুশ গৌতম।

লালবাজার সূত্রের খবর, বছর বাইশের অঙ্কুশই তিন জনকে কলকাতায় নিয়ে এসে খুনের পরিকল্পনা করে। এই নিয়ে ওই ব্যবসায়ী-খুনে চার জনকে গ্রেফতার করল লালবাজার। অঙ্কুশকে এ দিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বাকি তিন জনকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে শহরে আনা হচ্ছে।

রবিবার পোস্তার শিবতলা স্ট্রিটের গদিতে গিয়ে খুন হন ষাটোর্ধ্ব দিলীপবাবু। তার পরে মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের আগ্রার ফতেয়াবাদ থানা এলাকা থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম করণ বর্মা, সুশীল কুমার ও রূপকিশোর কুশওয়া। তাদের থেকে প্রায় তিন কোটি টাকার সোনা, কিছু নগদ টাকা ও মোবাইল উদ্ধার হয়।

লুটের উদ্দেশ্যে এই খুন বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করলেও এর পিছনে যে ব্যবসায়ীর কোনও পরিচিতের হাত রয়েছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিলেন তদন্তকারীরা। তাই প্রথম থেকেই দিলীপবাবুর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি, জেরা করা হয় দোকানের একাধিক কর্মীকেও। খতিয়ে দেখা হয় ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। আর সেখানেই ওই গদির কর্মী অঙ্কুশের ভূমিকায় সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, খুনের দিন ঘটনার কিছু আগেই গদি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল অঙ্কুশ। খুনের পরে তিন আততায়ী বেরিয়ে গেলে, তার কিছু ক্ষণ পরে সে ফের গদিতে ফিরে আসে। এর পরেই দিলীপবাবুর খুন হওয়ার কথা তাঁর পরিবার ও পুলিশকে জানায় সে।

পুলিশ সূত্রের খবর, এই খুনের ছক কষেছিল অঙ্কুশই। জানা গিয়েছে, অঙ্কুশ আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তাই রূপকিশোরের সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় ছিল তার। তাই রূপকিশোরের সাহায্যেই লুটের পরিকল্পনা করে
সে। এর পরে রূপকিশোরের সাহায্যে অঙ্কুশই তিন জনকে কলকাতায় নিয়ে আসে। ঘটনার দিন পাঁচেক আগে তিন জন শহরের একটি গেস্ট হাউসে এসে উঠে। রবিবার যে ক্রেতাকে সোনার গয়না দেওয়ার
কথা রয়েছে, তা অঙ্কুশ আগেই জানত। সেই মতো লুটের পরিকল্পনা করে সে। পুলিশের নজর এড়াতে খুনের পরে দিলীপবাবুর মোবাইল থেকে কল লিস্ট মুছে দিয়েছিল ধৃত ওই কর্মী। তার সঙ্গে ফোনে ওই ব্যবসায়ীর কথা হয়েছে, সেই তথ্যও মুছে দিয়েছিল সে। যদিও তার পরেও শেষরক্ষা হল না।

আগ্রা থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করার পরে তাদের জেরা করতেই সামনে চলে আসে ব্যবসায়ীর কর্মী অঙ্কুশের নাম। এর পরে রাতেই গ্রেফতার করা হয় অঙ্কুশকে।

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Murder Posta
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy