অভিযোগ, বছর সত্তরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করেছেন দূরসম্পর্কের এক আত্মীয়। প্রতীকী ছবি।
উৎসবের মরসুমে খাস কলকাতায় এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বছর সাতাশের এক তরুণের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতির সুযোগে ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে ওই বৃদ্ধাকে গলা টিপে খুনের চেষ্টার পর ধর্ষণ করেন তাঁরই এক দূরসম্পর্কের আত্মীয়। এক কালে যিনি ওই বাড়িতেই আশ্রিত ছিলেন বলে দাবি। রবিবার প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃদ্ধার বাড়ি প্রগতি ময়দান থানা এলাকায়। শনিবার রাত ২টো নাগাদ তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে ওই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যেরা।
বৃদ্ধার বড় ছেলের অভিযোগ, মাকে ধর্ষণ করেছেন তাঁদের খুড়তুতো দাদার শ্যালক। তাঁর কথায়, ‘‘ছোটভাই, তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে মা টালির বাড়িতে থাকেন। ভাইফোঁটার জন্য আমরা সকলে মিলে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। ঘটনার সময় মা বাড়িতে একাই ছিলেন। শনিবার গভীর রাতে বাড়ির টালি ও ফল্স সিলিং সরিয়ে ঘরে ঢোকে ও (অভিযুক্ত)। সে সময় মা ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা মায়ের উপর চেপে বসে ও। তাতে মায়ের ঘুম ভেঙে যায়। মা চিৎকার করে উঠলে তাঁর গলা টিপে ধরে মারধর করতে থাকে। এর পর মায়ের মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। এই ঘটনার পর অচৈতন্য হয়ে যান মা। মা মারা গিয়েছেন ভেবে সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যায় ও। এর পর পাশের বাড়ির এক দাদার বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সে।’’ যদিও পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধার চিৎকার শুনে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
বড় ছেলের আরও দাবি, সকালে হুঁশ ফিরলে কোনও রকমে পাশের বাড়ির এক দাদাকে গোটা ঘটনাটা জানান বৃদ্ধা।
পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার প্রগতি ময়দান থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, বৃদ্ধাকে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ধর্ষণের আগে মারধরের জেরে মায়ের চোখে আঘাত লেগেছে বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধার বড় ছেলে। তাঁর দাবি, এক কালে তাঁদের বাড়িতেই থাকতেন অভিযুক্ত। ছেলের কথায়, ‘‘আমার মাকে ‘মা’ বলে ডাকত ছেলেটা।’’ তবে সে সময় বৃদ্ধার স্নানরত অবস্থার ছবি তোলায় ওই তরুণকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনকি, তাঁদের বাড়িতে একটি চুরির ঘটনায় তরুণের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy