প্রতীকী চিত্র।
আগামী ১৬ নভেম্বর রাজ্যে খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। করোনা আবহে কী ভাবে ছাত্রছাত্রীদের ক্যাম্পাসে আনা হবে, সেই সংক্রান্ত খুঁটিনাটি ঠিক করতে মঙ্গলবার বৈঠকে বসেন কলকাতা, যাদবপুর ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষেরা। যাদবপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিজ্ঞান শাখায় স্নাতকোত্তরে প্রথম সিমেস্টারকে আনার সিদ্ধান্ত হলেও আর কোথাও আগে প্রথম সিমেস্টারকে ক্যাম্পাসে আনার সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ দিন বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস চট্টোপাধ্যায় জানান, স্নাতকোত্তর তৃতীয় সিমেস্টারের পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস করবেন। তাঁদের প্র্যাক্টিক্যালও হবে অফলাইনে। তবে তৃতীয় সিমেস্টারের যে সব বিষয়ে ছাত্রছাত্রী বেশি, সেই সব বিষয়ে অনলাইন এবং অফলাইন দুই পদ্ধতিতেই ক্লাস নেওয়া হবে। প্রথম সিমেস্টারের পড়ুয়াদের ক্লাস আপাতত অনলাইনে চলবে। আশিসবাবু বলেন, ‘‘বিভাগীয় প্রধানেরা আলাদা গ্রুপ করে পৃথক পৃথক দিনে ছাত্রছাত্রীদের আসতে বলতে পারেন। আবার এমনও হতে পারে, একটি পেপার অফলাইনে পড়ানো হল। অন্যটি অনলাইনে।’’ তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলি নিজেদের মতো করে পড়ুয়াদের আনবে।
এ দিন সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কলা এবং বিজ্ঞান ফ্যাকাল্টির বিভিন্ন বিভাগ খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হলেও ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি নিয়ে সব সিদ্ধান্ত এ দিন নেওয়া যায়নি।
বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ঠিক হয়েছে, স্নাতক স্তরে তৃতীয় এবং স্নাতকোত্তরে প্রথম সিমেস্টারকে আগে আনা হবে। স্নাতকোত্তরে তৃতীয় সিমেস্টারকে আনা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এর সঙ্গে কলা ও বিজ্ঞান ফ্যাকাল্টির পিএইচডি এবং এমফিল গবেষকেরা ক্যাম্পাসে আসবেন। কলা ফ্যাকাল্টির ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত হয়েছে, স্নাতক স্তরে প্রথম ছাড়া আর কোন সিমেস্টার আগে আসবে, তা ঠিক করবে বিভাগই। স্নাতকোত্তরে কোন সিমেস্টার আগে আসবে, সেই সিদ্ধান্তও বিভাগের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তরে প্রথম সিমেস্টারকে আগে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে তৃতীয় সিমেস্টারকেও আনা হবে কি না, তা সংশ্লিষ্ট বিভাগ ঠিক করবে।
এ দিনের বৈঠকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সংসদ দাবি করে, স্নাতক স্তরে পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম সিমেস্টারের পঠনপাঠন অনলাইনে চলুক। পাশাপাশি, প্রথম সিমেস্টারকে আগে আনা হোক। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকারা যুক্তি দেন, প্রথম সিমেস্টারের অনেকেই আঠারো বছর বয়স না হওয়ায় তাঁরা প্রতিষেধক পাননি। এই পরিস্থিতিতে প্রথমেই তাঁদের আনা ঠিক হবে না। এর পরেই ঠিক হয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি নিজেদের মধ্যে কথা বলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এর পাশাপাশি কোনও পড়ুয়ার যদি ক্লাসে আসতে অসুবিধা হয়, তা হলে শ্রেণিকক্ষে ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাবও এসেছে।
রবীন্দ্রভারতী কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ক্যাম্পাস খুললে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। কোন কোন সিমেস্টারের প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস নেওয়া হবে, তা বিভাগগুলিই ঠিক করবে। সেই সঙ্গে ক্যাম্পাসে আসবেন পিএইচডি এবং এমফিল-এর গবেষকেরা। স্নাতক স্তরে কলা ও চারুকলা বিভাগের পঞ্চম সিমেস্টার ও দৃশ্যকলার সপ্তম সিমেস্টারের পড়ুয়ারা অফলাইনে ক্লাস করবেন। স্নাতকোত্তরের তৃতীয় সিমেস্টারের কম্পালসারি ইলেক্টিভ পেপারের ক্লাসও হবে ক্যাম্পাসে। কিন্তু কোর কোর্স হবে অনলাইনে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের বাকি সিমেস্টারের ক্লাস আপাতত অনলাইনে চলবে। উপাচার্য সব্যসাচী বসুরায়চৌধুরী বলেন, ‘‘থিয়োরিটিক্যাল ক্লাস হবে মঙ্গল, বুধ এবং বৃহস্পতিবার। প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস প্রতিদিনই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy