ফাইল চিত্র।
চার বছর আগে কিডনির অসুখ ধরা পড়ায় আচমকাই থমকে গিয়েছিল স্বাভাবিক জীবনযাপন। স্নাতক স্তরের পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ছক্কা হাঁকানোটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নদিয়ার সুজিত মণ্ডলের। পেশায় রাজমিস্ত্রি, বাবা অনাদি মণ্ডল বুঝতে পারতেন না, বছর সাতাশের ছেলেটাকে কী ভাবে বাঁচাবেন!
১৩ জুলাই ওই যুবকের কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমেই নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই পরিষেবা চালু হয়। বাবা অনাদিবাবুর কিডনি প্রতিস্থাপিত হয়েছে সুজিতের শরীরে। কয়েক দিন আগেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন অনাদিবাবু। তবে বুধবার ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যেতে স্ত্রী গীতারানিদেবীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বললেন, “বাবা-ছেলের রক্তের গ্রুপ মিলে যাওয়ায় চিকিৎসকেরা বুঝিয়েছিলেন, আমার একটা কিডনিতে বেঁচে থাকবে ছেলেটা। সেই কথা শুনেছিলাম বলে আর চিকিৎসকদের সহযোগিতাতেই আজ ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।”
সুজিতের সুস্থতায় খুশি তাঁর চিকিৎসকেরাও। এনআরএসের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক পিনাকী মুখোপাধ্যায় বলেন, “সুজিত এখন স্বাভাবিক জীবন কাটাতে পারবেন। দৈনিক ওঁর প্রস্রাবের পরিমাণ, রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা সব স্বাভাবিক। তবে নির্দিষ্ট সময় অন্তর এক বার করে চেক-আপ করাতে আসতে হবে।” ২৮ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন সুজিত। এক মাস ছ’দিন পরে বাড়ি ফিরে তিনি বলছেন, “আর হয়তো পড়াশোনা হবে না। এ বার কাজ করে বাবা-মাকে দু’মুঠো ভাত যেন দিতে পারি, সেই চেষ্টা করব। তবে আবার ব্যাট হাতে ছক্কা হাঁকাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy