এখনও প্রতীক্ষা।— ফাইল চিত্র।
বছর খানেক আগেই রবীন্দ্র সরোবরে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা উন্নয়ন সংস্থা (কেআইটি)। এক বছর পেরিয়ে গেলেও পরিকাঠামোর অভাবে আটকে রয়েছে এই প্রকল্প। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, সমস্যার সমাধান করে দ্রুত সিসিটিভি বসানো হবে।
রাজ্যের নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘সিদ্ধান্ত আগে নেওয়া হলেও পরিকাঠামোর কিছু অসুবিধা থাকায় প্রকল্প এখনও বাস্তবায়িত করা যায়নি। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমি কেআইটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’
প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, কেআইটি কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করবে এবং সরোবরের মধ্যে এগুলি বসাতে সাহায্য করবে। কলকাতা পুলিশ এই সিসিটিভিতে নজরদারি রাখবে।
কেআইটি সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের নির্দেশেই একটি বিশেষজ্ঞ দল রবীন্দ্র সরোবরে সমীক্ষা করে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেয় কোথায় এই সিসিটিভি লাগানোর হবে। এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই প্রকল্পের জন্য কেআইটি প্রায় চার কোটি টাকা বরাদ্দ করে। কেআইটি-র এক আধিকারিক জানান, সমীক্ষার এই রিপোর্টে সরোবরের বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি-র পরিকল্পনার কথা বললেও নজরুল মঞ্চের কাছে বসানোর কোনও পরিকল্পনা ছিল না। অথচ, এই জায়গার নিরাপত্তার কথা ভেবেই এখানে নতুন করে সিসিটিভি বসানোর জন্য কলকাতা পুলিশ এবং বিশেষজ্ঞ দলকে ফের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই ব্যবস্থা নিতে বেশ কিছু সময় লাগে। পরে সমীক্ষা করে রবীন্দ্র সরোবরে প্রায় ২৫০টি সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলেও ওই আধিকারিক জানান। এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই দরপত্রের মাধ্যমে সিসিটিভি কেনার কথা। যদিও এখনও দরপত্র ডাকা হয়নি।
সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য প্রয়োজন একটি ঘরের। এ ছাড়াও নজরদারির জন্য কোন থানাকে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে সেই নিয়েও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মন্ত্রী জানান, ‘‘আপাতত সিদ্ধান্ত হয়েছে, সিসিটিভি-র মাধ্যমে নজরদারির জন্য রবীন্দ্র সরোবরে লেক থানা আউটপোস্টের কাছেই একটি ঘর তৈরি করা হবে। এ ছাড়া লেক থানাই এগুলির মাধ্যমে নজরদারি চালাবে। সিসিটিভি-র রক্ষণাবেক্ষণ করবে কেআইটি কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে ফের আলোচনা হবে।’’
কলকাতা পুলিশের ডিসি (সাউথ ইস্টার্ন ডিভিশন) গৌরব শর্মা বলেন। ‘‘রবীন্দ্র সরোবরে সিসিটিভি প্রকল্পের বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের বিষয় জানি না। কেআইটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনায় বসতে রাজি।’’
অন্য দিকে পুলিশের দাবি, রবীন্দ্র সরোবরে ছিনতাই বা দুষ্কৃতী হামলা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ থাকলেও এত বড়ো জায়গার নজরদারি করা কার্যত অসম্ভব। সেক্ষেত্রে সিসিটিভি থাকলে দুষ্কৃতীদের ধরা সহজ হবে। ঘটেনি। রবীন্দ্র সরোবরে সার্বিক আইন শৃঙ্খলার কথা ভেবেই প্রশাসন এখানে সিসিটিভিই বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy