আদিগঙ্গা
আদিগঙ্গার উপরে নির্মাণকাজ অথবা সংলগ্ন রাস্তা সম্প্রসারণের কোনও কাজ হয়েছে কি না, সে সম্পর্কে রাজ্য সরকারকে সমীক্ষা করার নির্দেশ দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত।
সোমবার আদিগঙ্গা সংক্রান্ত একটি মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অবশ্য রাজ্যের মুখ্যসচিব আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় আগেই এই সমীক্ষার উল্লেখ করেছিলেন। তাতে এ-ও বলা হয়েছিল, আইআইটি বা রাইটস-এর মতো বিশেষজ্ঞ সংস্থার মাধ্যমেই এই সমীক্ষা করানো হবে।
এ দিন আদিগঙ্গা সংক্রান্ত আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শুনানির সময়ে উঠে আসে। যেমন, রাজ্য আগেই আদালতকে জানিয়েছিল যে তিনটি বর্জ্য পরিশোধন প্লান্ট (এসটিপি) তৈরির জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার তরফে সেই জমি পাওয়া গিয়েছে। ওই বর্জ্য পরিশোধন প্লান্ট তৈরির টাকা ‘ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা’ (এনএমসিজি) থেকে আসার কথা।
কিন্তু প্রশাসন সূত্রের খবর, গত অক্টোবরে চিঠি দিয়ে এনএমসিজি জানায়, ওই প্রকল্পের জন্য টাকা পাওয়া কয়েকটি শর্তের উপরে নির্ভর করছে। যার সঙ্গে আদিগঙ্গার দু’পাশ থেকে দখলদার উচ্ছেদ ও পুনর্বাসনের বিষয়টি জড়িত। যার প্রেক্ষিতে পরিবেশ আদালতের কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় রাজ্য সরকার জানায়, এই শর্ত পূরণ করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কারণ, দখলদার উচ্ছেদ ও পুনর্বাসন একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং তা ধাপে-ধাপে করতে হবে। তাই রাজ্যের তরফে আদালতের কাছে আবেদন করা হয়, প্রকল্পের টাকা দেওয়ার বিষয়টি যেন এনএমসিজি ‘বাস্তবসম্মত দৃষ্টিকোণ’ থেকে দেখে। এর উত্তরে এ দিন আদালত এনএমসিজি-কে এ বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে বলেছে।
ওই মামলায় আদালতবান্ধব হিসেবে নিযুক্ত পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত জানান, আদিগঙ্গার পাশ থেকে দখলদারদের সরাতে তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জমি চেয়েছিল পুরসভা। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে সন্তোষজনক কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি বলে আদালতকে এ দিন জানিয়েছে রাজ্য। সুভাষবাবু বলেন, ‘‘এ দিন পরিবেশ আদালত বন্দরকেও নতুন ভাবে পার্টি করেছে। তারা জমি দিতে ইচ্ছুক কি না, সেটাও আদালত জানতে চেয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy