কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই মিউটেশন ও বাড়ির নকশা অনুমোদনে অভিন্ন নিয়ম চালু করতে উদ্যোগী হলেন কর্তৃপক্ষ। এত দিন ১ থেকে ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে এক রকম এবং সংযোজিত ১০১ থেকে ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভিন্ন নিয়ম থাকায় জেরবার হচ্ছিলেন পুরকর্তারা। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ঘরে এক বৈঠকে নিয়মের রকমফের তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মেয়র তথা আবাসনমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ-সহ পুরসভার পদস্থ আধিকারিকেরাও।
পুরসভা সূত্রের খবর, ১ থেকে ১০০ ওয়ার্ড পুরনো কলকাতা। পরে সংযোজিত ১০১ থেকে ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে যাদবপুর, বেহালা, গার্ডেনরিচ এবং জোকা। পুরনো নিয়মে সংযোজিত ওয়ার্ডে জমি-ঘরবাড়ি মিউটেশন বা নকশা অনুমোদনে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের ভূমি ও ভূমিরাজস্ব দফতরে আবেদন জানাতে হতো। কলকাতা পুর-এলাকায় যুক্ত হয়ে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কলকাতা পুরসভাতেও আলাদা ভাবে আবেদনের প্রক্রিয়া। একই জমি-বাড়ির মিউটেশন এবং বিল্ডিং প্ল্যানের জন্য জেলা প্রশাসন ও কলকাতা পুরসভায় আলাদা আবেদন করতে শুধু খরচই বেশি নয়, বেড়েছে দুর্ভোগও। সমাধানের পথ খুঁজতেই এ দিনের বৈঠক।
কলকাতা পুরসভার কর মূল্যায়ন এবং বিল্ডিং দফতরের আধিকারিকেরা জানান, সম্প্রতি মিউটেশন করাতে এসে চরম ভোগান্তি হয় সংযোজিত এলাকার গোটা চারেক পরিবারের। সেই অভিজ্ঞতার পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভূমি ও ভূমিরাজস্ব দফতরে মিউটেশন করাতেও বারবার ঘুরতে হয়। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগও আসে। এর পরেই অভিন্ন নিয়ম চালুর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন বিল্ডিং এবং কর মূল্যায়ন দফতরের অফিসারেরাও।
কর মূল্যায়ন দফতরের এক পদস্থ কর্তা জানান, জটিল প্রক্রিয়ার কারণে অনেকে মাঝপথেই মিউটেশন করা বন্ধ করে দিচ্ছেন। ফলে সম্পত্তির মূল্যায়ন না হলে পুরসভা সম্পত্তিকরও পাবে না। একই ভাবে সংযোজিত এলাকার বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের আবেদন করলে প্রথমে জেলা প্রশাসনের কাছে যেতে হচ্ছে মিউটেশনের জন্য। তার পরে চাষের জমিতে বাড়ি তুলতে চাই ডাইভারশন সার্টিফিকেটও। তা পেতেই ঘাম ছুটছে আবেদনকারীর। এ দিন বৈঠকের পরে শীঘ্রই যাতে কলকাতা পুরসভা থেকেই সব কাজ হতে পারে, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত হচ্ছে বলে পুর সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy