ফাইল চিত্র।
চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য বেঁধে দেওয়া থাকে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা। কিন্তু থাকে না যোগ্যতার কোনও ঊর্ধ্বসীমা। আর সেই কারণেই নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মতো অন্য হাসপাতালগুলিতেও বার বার পদ পূরণ করতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরকে। এমনটাই বক্তব্য স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশের।
রবিবার ডোম পদে পরীক্ষা দিতে আশপাশের জেলা থেকেও এন আর এস হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছিলেন অনেক বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতার চাকরিপ্রার্থীরা। তবে শুধু ওই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কিংবা ওই ডোম পদেই নয়, এ হেন সমস্যা মাঝেমধ্যেই তৈরি হয় শহর থেকে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে। যেখানে ডোম কিংবা চতুর্থ শ্রেণির পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন ন্যূনতম যোগ্যতামানের থেকে অনেক বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা প্রার্থীরাও। প্রশাসনের অন্দরের পর্যবেক্ষণ, প্রার্থীদের বেশির ভাগেরই সরকারি চাকরিতে ঢোকার একটা প্রবণতা বা ইচ্ছা থাকে। তাই সেখানে চাকরির পদটা বিশেষ কোনও মাত্রা পায় না।
স্বাস্থ্য শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত দিনেও এমন ঘটনার উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু তাতে তেমন কিছু করারও থাকে না। কারণ কী? এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, ধরা যাক, চতুর্থ শ্রেণি পদে নিয়োগ হবে। সেখানে কোনও স্নাতকোত্তর প্রার্থী কিংবা আরও উচ্চশিক্ষিত কেউ আবেদন করলেন। তিনি পরীক্ষায় পাশও করলেন। তখন তাঁকে নিয়োগ না করে উপায় নেই। কিন্তু সব সময়ে যে তা হয়, তেমনটা নয় বলেও জানাচ্ছেন আধিকারিকরা। কারণ শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পদে কাজের অভিজ্ঞতাও যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়। যেমন এন আর এস হাসপাতালে ডোম পদে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ হওয়ার পাশাপাশি বলা হয়েছিল, প্রার্থী ডোম সম্প্রদায়ের এবং মর্গে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে ভাল।
এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘যে সব প্রার্থীর ওই অতিরিক্ত যোগ্যতা রয়েছে, তাঁরা কিন্তু নিয়োগে প্রাধান্য পাবেন। এটা শুধু ওই ডোম পদের ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।’’
তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম যে হয় না, তা-ও নয়। তেমন অভিজ্ঞতা রয়েছে শহরের বেশ কিছু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও। তাঁদের অভিজ্ঞতা বলছে, কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, পরীক্ষায় পাশ করে এবং সমস্ত যোগ্যতামান পূরণ করে চতুর্থ শ্রেণির পদে যে প্রার্থী নিয়োগ হলেন, তিনি উচ্চশিক্ষিত। তাঁকে হয়তো অফিসের কাজে ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু এতে শূন্য পদের সমস্যা তো থেকেই যাচ্ছে? স্বাস্থ্য শিবিরের আধিকারিকদের একাংশের কথায়, ‘‘সে তো থেকেই যায়। খাতায়কলমে কেউ চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হয়েও অন্য কাজ করছেন। তবে এটা খুব বেশি হয় না। কয়েকটি ব্যতিক্রম রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy