ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্য়ুনাল। ফাইল চিত্র।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘গা-ছাড়া’ মনোভাব দেখিয়েছে রাজ্য। শুধু তা-ই নয়, রাজ্যের পরিবেশ দফতরের তরফে হলফনামার আকারে দূষণ নিয়ন্ত্রণের হিসেব দাখিল করা হয়েছে আদালতে, তা ‘সন্তোষজনক’ নয়, তার সঠিক ভিত্তিও নেই। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে এ ভাবেই ভর্ৎসনা করল জাতীয় পরিবেশ আদালত।
বায়ুদূষণ নিয়ে পরিবেশ আদালতে গত শুক্রবার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতেই রাজ্যকে ১০ কোটি টাকার জরিমানা করেছে আদালত। ওই মামলারই রায়ে ছত্রে-ছত্রে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হওয়ায় রাজ্য সরকারকে বিঁধেছে পরিবেশ আদালত। বায়ুদূষণ নিয়ে যে হলফনামাই দাখিল করুক না রাজ্য, পরিবেশ আদালত স্পষ্ট বলেছে, এখনও এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি। আদালত এ-ও বলেছে, ‘আদালতের নির্দেশের প্রতি রাজ্য সরকারের উদাসীনতা আমরা লক্ষ করেছি।’
এমনিতে বায়ুদূষণের এই মামলা ২০১৬ সাল থেকে চলছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, তার একটি রূপরেখাও বলে দিয়েছিল পরিবেশ আদালত। কিন্তু তার সিকিভাগও এখনও পর্যন্ত পালন করা হয়নি বলে অভিযোগ পরিবেশ কর্মীদের একাংশের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের ধোঁয়া, রাস্তার ধুলো, নির্মাণসামগ্রী থেকে দূষণের চিত্র ক্রমশ জটিল হয়েছে বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। ওই মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্তের কথায়, ‘‘পরিবেশ আদালত যথেষ্ট কড়া কথা বলেছে। কয়েকটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা ছাড়া রাজ্য সরকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে এখনও সদর্থক কিছু করেনি। এ দিকে দূষণের মাত্রা ক্রমশ যে ভাবে বাড়ছে, তা উদ্বেগজনক। এখনই পদক্ষেপ না করলে আরও দেরি হয়ে যাবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy