Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

আদিগঙ্গা নিয়ে কোর্টের তোপ

আদিগঙ্গার দূষণ নিয়ে কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে নোটিস জারি করতে হবে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে। বুধবার শুধু এই নির্দেশেই থেমে থাকেনি জাতীয় পরিবেশ আদালতের বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য রঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের পূর্বাঞ্চলীয় ডিভিশন বেঞ্চ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:১৬
Share: Save:

আদিগঙ্গার দূষণ নিয়ে কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে নোটিস জারি করতে হবে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে। বুধবার শুধু এই নির্দেশেই থেমে থাকেনি জাতীয় পরিবেশ আদালতের বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য রঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের পূর্বাঞ্চলীয় ডিভিশন বেঞ্চ। পরিবেশ আদালত আরও বলেছে, দূষণ করার দায়ে পুরসভার বিরুদ্ধে পর্ষদকে আইনানুগ ব্যবস্থাও নিতে হবে।

এই নির্দেশ শুনে অনেকেই বলছেন, রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি-ই আবার কলকাতার মেয়র। তা হলে কি পরিবেশমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই দূষণের অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ করবে পর্ষদ?

আদিগঙ্গা নিয়ে দূষণের অভিযোগ নতুন নয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে দিয়ে আদিগঙ্গার জল পরীক্ষাও করিয়েছিল পরিবেশ আদালত। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে আগেই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। এ দিন সেই প্রসঙ্গ উঠতেই আদালতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আইনজীবী অর্পিতা চৌধুরী জানান, তাঁরা নোটিস জারি করেছিলেন। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তিনি জানাতে পারেননি। এর পরেই আদালত ফের নতুন ভাবে নোটিস জারি এবং ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, আদিগঙ্গার জল আবার পরীক্ষা করতে হবে পর্ষদকে। ৫৭টি নিকাশি নালার সব ক’টি পরিদর্শন করতে হবে। ৩০ মে-র মধ্যে এই সব কাজের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতেও বলা হয়েছে।

২০১৫ সালে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, আদিগঙ্গার দূষণ মুক্তির উপায় নিয়ে বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করছে পুরসভা। আরও জানানো হয়, চলতি বছরের গোড়ায় সেই রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও তা জমা পড়েনি। বিষয়টি নিয়ে এ দিন অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, কলকাতা পুরসভাকে ১৫ দিনের মধ্যে ডিপিআর চূড়ান্ত করে ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা মিশনের কাছে জমা দিতে হবে। তারা ১৫ দিনের মধ্যে সেই ডিপিআর অনুমোদন করবে। তার ১৫ দিনের মধ্যে কাজের বরাত দেওয়ার দরপত্র চূড়ান্ত করতে হবে।

যদিও পরিবেশকর্মীদের অনেকেই বলছেন, আদিগঙ্গার দূষণ মুক্তির এই উপায় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই এমন টালবাহানা চলছে। শেষমেশ আদালতের নির্দেশের জেরে ৪৫ দিনে সেই কাজ শেষ হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE