Advertisement
২২ জানুয়ারি ২০২৫
Crime

অস্বাভাবিক মৃত্যু যুবকের, অভিযুক্ত পরিবার

তদন্তকারীরা জানান, ওই যুবকের ভাই তাঁকে মারধর করার পাশাপাশি শাবল, বঁটি দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২০ ০১:৫৫
Share: Save:

মানসিক ভাবে অসুস্থ এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানায়, বুধবার গভীর রাতে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পূর্ণেন্দু মণ্ডল নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। তাঁর প্রতিবেশীদের অভিযোগ, সম্পত্তির লোভে পূর্ণেন্দুকে তাঁর পরিবারের লোকজনই খুন করেছেন। পূর্ণেন্দুর মৃত্যুর পরে তাঁর প্রতিবেশীরা এ দিন তাঁর মা, বাবা ও ভাইয়ের উপরে চড়াও হন। প্রতিবেশীদের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে গরফা থানা।

তদন্তকারীরা জানান, ওই যুবকের ভাই তাঁকে মারধর করার পাশাপাশি শাবল, বঁটি দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। মৃতের গায়ে সেই আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। বুধবার রাতে পূর্ণেন্দুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গরফা থানা এলাকার মণ্ডলপাড়া রোডে থাকতেন ওই যুবক।

এলাকা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার পূর্ণেন্দুর মৃত্যুর খবর চাউর হতেই পাড়ার লোকজন ওই পরিবারটির উপরে চড়াও হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন প্রতিবেশীরা। তাঁরা প্রকাশ্যেই চেঁচামেচি করে অভিযোগ করে বলেন, মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত পূর্ণেন্দুকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসএসডি) প্রদীপ যাদবও।

প্রতিবেশীদের একাংশের অভিযোগ, বুধবার রাতে যখন যুবকের বাড়িতে গোলমাল চলছিল, তখন প্রথমে তাঁরা পূর্ণেন্দুর বাবার কাছে কী হয়েছে তা জানতে চান। প্রতিবেশীদের দাবি, যুবকের বাবা জানান তাঁর ছেলে গোলমাল করছে। এর পরে তাঁরা গরফা থানায় ফোন করেছিলেন। কিন্তু থানা থেকে জানানো হয়, পুলিশকর্মীদের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোয়রান্টিনে রয়েছেন। তাই কেউ যেতে পারবেন না। প্রতিবেশীদের দাবি, তাঁরা এর পরে লালবাজারেও ফোন করেন। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। যদিও কলকাতা পুলিশের তরফে সেই দাবি অস্বীকার করা হয়েছে।

তদন্তকারীরা জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যান পরিজনেরাই। ওই পরিবারের পাঁচটি ভেড়ি, দু’টি দোকান রয়েছে। ছোট ছেলের আলাদা বাড়ি রয়েছে। পড়শিদের অভিযোগ, পূর্ণেন্দুর সম্পত্তির দিকেও নজর ছিল সকলের। মানসিক সমস্যার কারণে তাঁর পাভলভে চিকিৎসা চলছিল। তাঁর উপরে কুড়ি বছর ধরে নানা শারীরিক অত্যাচার চলত বলেই পুলিশকে জানান প্রতিবেশীরা।

পুলিশ জানায়, পূর্ণেন্দুর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে তাঁর দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। অবশ্য পরিবারের তরফে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাওয়া হয়নি।

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Murder Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy