লেকটাউনে ঘর ভাড়া নিয়ে সেলুন খুলেছিলেন তাঁরা। পুলিশের মদতে দুই দুষ্কৃতী তাঁদের উচ্ছেদ করে ওই সেলুনের দখল নিয়েছে, এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন এক দম্পতি। দম্পতির অভিযোগ, লেক টাউন থানার প্রাক্তন এক ওসি এবং এক সাব-ইনস্পেক্টর তাঁদের দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে দুষ্কৃতীদের ওই সেলুনের দখল দেন। হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ৯ জানুয়ারি বিধানগর পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করে দু’সপ্তাহের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে।
মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে আইনজীবী সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় জানান, নাগেরবাজারের বাসিন্দা তাঁর মক্কেল উজ্জ্বল পাল ও বন্দনা পাল বছর পাঁচেক আগে লেক টাউনে ওই সেলুন খোলেন। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্থানীয় দুই দুষ্কৃতী সশস্ত্র অবস্থায় এসে তাঁদের উচ্ছেদের হুমকি দেয়। সেলুন তাদের হাতে ছেড়ে দিতে বলে। লেক টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই দম্পতি। তবে তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ কোনও রকম ব্যবস্থা নেয়নি। তাঁদের আরও অভিযোগ, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেখানকার ওসি তাঁদের থানায় আটকে রেখে, ভয় দেখিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেন। সেলুন ছেড়ে চলে যেতে বলেন তাঁদের। পরে এক সাব-ইনস্পেক্টর সেলুন ভাড়ার চুক্তিপত্রও দম্পতির কাছ থেকে হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের ভয়ে উজ্জ্বলবাবু এবং বন্দনাদেবী সেলুন ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন।
আইনজীবী সব্যসাচীবাবু জানিয়েছেন, গত বছর মার্চ মাসে বিধাননগরের পুলিশ কর্তাদের কাছে সবিস্তার অভিযোগ জানান ওই দম্পতি। ডিসেম্বর মাসে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তাঁরা। ৯ ডিসেম্বর মামলার শুনানির সময়ে রাজ্য সরকারের আইনজীবী সম্রাট সেন জানান, এই মামলা ধোপে টেকে না। কিন্তু বিচারপতি বাগচী সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য মানতে রাজি হননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy