প্রতীকী চিত্র
সিলেবাস শেষ করেও পরীক্ষায় বসার আগ্রহ না-দেখানো ছাত্র এ বার যেন রাতারাতি পরীক্ষার বাধা টপকে পরের ক্লাসে পৌঁছতে মরিয়া। সে জন্য পিঠোপিঠি দু’টি পরীক্ষা দিতে হলেও আপত্তি নেই তার। জমে থাকা সিলেবাস শেষ করে পরের ক্লাসে ওঠার জন্য কালঘাম ছোটাতেও রাজি সে।
পাঁচ নম্বর সেক্টর থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েন চললেও ফুলবাগান পর্যন্ত পরিষেবা সম্প্রসারণ নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছেন মেট্রোকর্তারা। চলতি মাসের মধ্যেই কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করতে চলেছেন তাঁরা। ওই ছাড়পত্র এসে গেলে আগামী মাসের মধ্যে সেক্টর ফাইভ থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত ছুটতে পারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো।
কী ভাবে? পাঁচ নম্বর সেক্টর থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত মেট্রো চলাচলের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। ওই পথে পরিষেবার জন্য কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির দেওয়া ছাড়পত্রের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি। দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে সম্প্রতি ওই পথ যাত্রী
পরিবহণের জন্য খুলে দেওয়া নিয়ে মেট্রোর তৎপরতা বেড়েছে। ফলে চলতি মাসের মধ্যেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পরিষেবা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। পাশাপাশি, সল্টলেক স্টেডিয়াম থেকে ফুলবাগানের মধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় সেরে ফেলার পথে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সিগন্যালিং এবং অন্য স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার পরীক্ষা শেষ হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এ ক্ষেত্রে নতুন করে চালকদের প্রস্তুতির বিষয় নেই। ফলে নির্ধারিত কিছু শর্ত পূরণ করলেই ওই পথ খুলে দেওয়া যাবে।
মেট্রোকর্তারা আপাতত সে কথা মাথায় রেখেই এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছেন। যাতে পিঠোপিঠি দু’টি পৃথক পরিসরই মেট্রো চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যায়। মেট্রো সূত্রের খবর, সল্টলেক স্টেডিয়াম থেকে ফুলবাগান স্টেশন পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়া ওই ট্রেনকে শিয়ালদহ স্টেশনের আগে থাকা ‘ক্রসওভার’ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে যাত্রা সম্পূর্ণ করার পরে লাইন বদল করে ট্রেনটি আবার ফিরতি পথে আসতে পারে। তার জন্য ফুলবাগান স্টেশনের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে শিয়ালদহে ক্রসওভারের কাছে সিগন্যাল, পয়েন্ট এবং প্যানেল সংক্রান্ত কাজ সম্পূর্ণ করা খুব জরুরি ছিল। সেই কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় আশার আলো দেখছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
এক সময়ে পরীক্ষা এড়িয়ে যাওয়া ছাত্র এ বার তাই দু’টি পরীক্ষা একসঙ্গে পাশ করার চেষ্টায়। মেট্রোকর্তাদের অবশ্য দাবি, ফুলবাগান পর্যন্ত ট্রেন চালাতে পারলে দেরিতে পরিষেবা শুরু করার অপবাদ যেমন কিছুটা ঘুচবে, তেমন যাত্রীও অনেক বেশি মিলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy