প্রতীকী ছবি।
বাগুইআটির অশ্বিনীনগরে এক বৃদ্ধের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম শ্যামল চট্টোপাধ্যায় (৮৩)। ঘটনার পরে শ্যামলবাবুর বড় ছেলে চাঁদু চট্টোপাধ্যায়কে (৫৭) হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, বৃদ্ধের মৃত্যুর পরে চাঁদুবাবু থানায় গিয়ে বাবার মৃত্যুর খবর জানান। ঘটনায় নিজেকে দায়ী করে চাঁদুবাবু পুলিশকে বলেন তাঁকে গ্রেফতার করতে।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ চাঁদুবাবু বাগুইআটি থানায় যান। তাঁর কথা শুনে চোখ কপালে ওঠে পুলিশের আধিকারিকদের। তাঁরা অশ্বিনীনগরে শ্যামলবাবুদের আবাসনে পৌঁছন। পাঁচতলার আবাসনের দোতলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন ওই বৃদ্ধ। সেই ফ্ল্যাটে ঢুকে পুলিশ দেখে, সোফায় বৃদ্ধের দেহ পড়ে রয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, বৃদ্ধের গলায় একটি সন্দেহজনক চিহ্ন ছিল। তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অবশ্য পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনা নিয়ে কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অপেক্ষা করা হচ্ছে বৃদ্ধের দেহের ময়না-তদন্তের রিপোর্টের জন্য। মঙ্গলবার ফরেন্সিক দল ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘরের ভিতর থেকে একটি দড়ি মিলেছে, তাতে রক্তের ফোঁটাও দেখা গিয়েছে। শ্যামলবাবুকে তাঁর বড় ছেলেই চাঁদুবাবুই খুন করেছেন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। গ্রেফতারের পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কী ভাবে এবং কেন ওই ঘটনা ঘটল, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে জানান তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই বৃদ্ধ বিমানবাহিনীর প্রাক্তন কর্মী। তাঁর দুই ছেলেই আমেরিকায় থাকতেন। শ্যামলবাবু সেখানে যাতায়াত করতেন। বড় ছেলের সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে বাগুইআটির অশ্বিনীনগরের ফ্ল্যাটে বসবাস করছিলেন তিনি। শ্যামলবাবুর স্ত্রী আগেই মারা গিয়েছেন। চাঁদুবাবুর স্ত্রী ও সন্তান বেঙ্গালুরুতে বসবাস করেন। তিনি একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার উচ্চপদে কর্মরত।
সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান। পুলিশ জেনেছে, প্রতিবেশীদের খবর দেন চাঁদুবাবুই। স্থানীয় এক চিকিৎসককেও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সম্ভবত তিনি গলায় দাগ দেখে ডেথ সার্টিফিকেট দিতে রাজি হননি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, গলায় দড়ির চাপ লেগে শ্বাসরোধ হয়ে শ্যামলবাবুর মৃত্যু হয়। ধোঁয়াশা কাটাতে বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ।
এমন ঘটনা মানসিক অবসাদের জেরে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, শ্যামলবাবুদের পরিবার প্রতিষ্ঠিত। তিনি চাইতেন চন্দুবাবু তাঁর কাছে থাকুন। কিন্তু চাঁদুবাবুর পরিবার রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। তিনি কর্মক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy