—প্রতীকী চিত্র।
গার্ডরেলে ধাক্কা মেরে বেপরোয়া গাড়িটি সোজা উঠে গিয়েছিল ফুটপাতে। প্রথমে সেটি একটি বাতিস্তম্ভে ধাক্কা মারে। তার পরে ধাক্কা মারে কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা এক দম্পতি এবং এক সাইকেল আরোহীকে। গুরুতর আহত ওই তিন জনকে ই এম বাইপাসের ধারে এক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাইকেল আরোহীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গরফা থানার আর্য বিদ্যালয় রোডে। ঘটনায় অভিযুক্ত গাড়িচালক, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার বাসিন্দা শুভম রবিবার রাতে তাঁর এক বান্ধবীকে বাইপাসের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, তিনি মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িটি যাদবপুর অতিক্রম করে সাঁপুইপাড়া পৌঁছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গার্ডরেলে ধাক্কা মেরে ফুটপাতে উঠে যায়। সেটির গতি এতই বেশি ছিল যে, এর পরেও চালক গাড়ি থামাতে পারেননি। ফুটপাতে উঠে গাড়িটি ধাক্কা মারে একটি বাতিস্তম্ভে।
সেই সময়ে সেখানে সাইকেল দাঁড় করিয়ে এক দম্পতির সঙ্গে কথা বলছিলেন রতন সরকার (৪৮)। তাঁর বাড়ি আর্য বিদ্যালয় রোডেই। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ওই দম্পতি, নীলোৎপল বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী। জানা গিয়েছে, বেপরোয়া গাড়িটি ওই তিন জনকে পর পর ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদের ই এম বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে রতনবাবুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। নীলোৎপলবাবুও ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর পরেই উত্তেজিত জনতা গাড়িটি আটকে থানায় খবর দেয়। গরফা থানার পুলিশ পৌঁছে গ্রেফতার করে শুভমকে। তাঁকে সোমবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এ দিন দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটির ফরেন্সিক পরীক্ষা হয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দুঘর্টনার সময়ে গাড়িটির গতি ছিল ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। ধৃতের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy