Advertisement
০৭ নভেম্বর ২০২৪
Mamata on Barabazar

বড়বাজারে দুর্ঘটনা বন্ধে কড়া মনোভাব মমতার

আচমকা অগ্নিকাণ্ড এবং পুরনো বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা কলকাতা শহরের এক পুরনো সমস্যা। অভিযোগ, এ নিয়ে সতর্কতা ও নজরদারির অভাবও যথেষ্ট।

জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার, পোস্তায়।

জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার, পোস্তায়। ছবি: রণজিৎ নন্দী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৫০
Share: Save:

পোস্তা-বড়বাজার অঞ্চলে বিপজ্জনক বাড়ি ও অগ্নিকাণ্ড নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে এই জোড়া বিপদ এড়াতে পদক্ষেপ করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছেন তিনি। পাশাপাশি, এই অঞ্চলে তৃণমূলের ভোট না-পাওয়া নিয়ে আক্ষেপও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়।

আচমকা অগ্নিকাণ্ড এবং পুরনো বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা কলকাতা শহরের এক পুরনো সমস্যা। অভিযোগ, এ নিয়ে সতর্কতা ও নজরদারির অভাবও যথেষ্ট। ‘পোস্তা মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’-এর জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে এসে বুধবার তা নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘অনেকেই দোকান-বাড়ির সামনে প্লাস্টিক ও অন্য দাহ্য বস্তু জমা করে রাখেন। কেন রাখেন? বড়বাজারে বা জোড়াসাঁকোয় আগুন লাগলে দমকলকে দোষ দেবেন না! দমকলের যাতায়াতের জায়গাও নেই সব জায়গায়। একই অবস্থা রয়েছে গার্ডেনরিচ ও তপসিয়ায়।’’ তার পরেই স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘দ্রুত এ নিয়ে কলকাতা কর্পোরেশনের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা করুন। নিজে বাঁচলে তবেই না অন্যকে বাঁচাতে পারবেন।’’

বিপজ্জনক, বেআইনি বাড়ি নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘অনেক পুরনো বাড়ি রয়েছে। সে সব আপনারাই ব্যবহার করুন। কিন্তু মেরামতি করে নেওয়া হোক।’’ পাশে উপস্থিত কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মাকে তিনি নির্দেশ দেন, পুজো মিটে গেলে অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা ও বিপজ্জনক বাড়ি— এই দু’টি বিষয় নিয়ে ব্যবসায়ী, দমকল, স্থানীয় বিধায়ক, সাংসদ, পুলিশ, পুরসভা-সহ সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করতে হবে।

ছটপুজোয় গঙ্গা বা পুকুরে যাওয়া পুণ্যার্থীদের তাড়াহুড়ো করতে এ দিন বারণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ছটপুজোর পুণ্যার্থীদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, ‘‘নির্দিষ্ট দলে বিভক্ত হয়ে ছটপুজো পালন করবেন। কোনও তাড়াহুড়ো করবেন না। পদপিষ্ট হওয়ায় সম্ভাবনা থেকে যায়। গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে পুরসভার তরফে আলো, জল-সহ নানা পরিষেবার ব্যবস্থা থাকবে।’’

বড়বাজার অঞ্চলে ভোট নিয়েও আক্ষেপ শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এখানে আমাদের মাত্র এক জন কাউন্সিলর। লোকসভাতেও ভোট পাইনি। কিন্তু আমরা আছি কাকের মতো, কাক যেমন বছরে ৩৬৫ দিন থাকে। মরসুমি কোকিলের মতো নই!’’

এই অঞ্চলে বিভিন্ন ভাষার মানুষের সংহতির উপরে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এখানে কেউ কারও জাত, ধর্ম, খাদ্যাভ্যাস নিয়ে প্রশ্ন করে না। বাংলাকে নিজের জায়গা মনে করুন। সে ভাবেই মিলেমিশে থাকুন।’’ বড়বাজার অঞ্চলে তোলাবাজি বন্ধেও কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন পোস্তা ছাড়াও চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট দশটি জগদ্ধাত্রী পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee Barabazar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE