Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
mamata banerjee

রাজীবের বিরুদ্ধে তদন্তে মন্ত্রিসভার সায়, স্বাগত জানিয়ে নিরপেক্ষতা দাবি রাজীবের

তবে শুধু বন দফতর নয়, রাজ্য সরকার অন্য যত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করেছে তারও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছেন রাজীব।

মমতা-রাজীব সম্পর্ক যে আর আগের মতো নেই, তা সামনে এসে যায় ৩ ফেব্রুয়ারি।

মমতা-রাজীব সম্পর্ক যে আর আগের মতো নেই, তা সামনে এসে যায় ৩ ফেব্রুয়ারি। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:২৩
Share: Save:

বন-সহায়ক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত করবে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ, তদন্ত হবে প্রাক্তন বনমন্ত্রী এবং অধুনা বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। শুক্রবার এমনই সিদ্ধান্ত নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভা। তৃণমূল ছেড়ে রাজীব বিজেপি-তে যাওয়ার পরেই রাজীবের হাতে থাকা দফতরে ‘বন সহায়ক’ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘কারসাজি’ হয়েছে বলে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা। জানিয়েছিলেন, ওই অভিযোগের তদন্ত হবে। শুক্রবার সেই ঘোষণাতেই সিলমোহর পড়েছে।

মমতার অভিযোগের দিনই রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে কড়া জবাব দিয়েছিলেন রাজীব। রাজ্য মন্ত্রিসভার তদন্তের সিদ্ধান্ত শুনে তাঁর মন্তব্য, ‘‘তদন্ত হোক। তবে সেটা যেন নিরপেক্ষ হয় এবং প্রতিহিংসামূলক না হয়।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘শুধু বন দফতর নয়। রাজ্য সরকার অন্য যত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করেছে তারও তদন্ত হোক।’’

তৃণমূলের সঙ্গে রাজীবের দূরত্ব অনেক আগে থেকেই তৈরি হচ্ছিল। দলের তরফে তাঁর মানভঞ্জনের চেষ্টাও হয়েছে অনেক। এর পরেও ধাপে ধাপে মন্ত্রিত্ব, বিধায়ক ও তৃণমূলের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন রাজীব। এর পর ৩০ জানুয়ারি দিল্লিতে অমিত শাহের বাড়িতে গিয়ে পদ্মশিবিরে যোগ দেন। দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলেও দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে একবারও মুখ খোলেননি রাজীব। বিধায়ক পদ ছাড়ার পরে মমতার ছবি নিয়ে বিধানসভা ভবন থেকে বার হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরে মমতা-রাজীব সম্পর্ক যে আর আগের মতো নেই, তা সামনে এসে যায় ৩ ফেব্রুয়ারি।

সে দিন আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘‘বন-সহায়ক নিয়োগে কারসাজি করেছে ওই ছেলেটা। আমরা তদন্ত করব।’’ নিয়োগের তালিকা পুনর্বিবেচনার আশ্বাসও দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জবাবে সেদিনই হুগলির গুড়াপে বিজেপি-র মঞ্চ থেকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছোড়েন রাজীব। বলেন, ‘‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়বে! কোন কোন নেতা ওই পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে চিঠি দিয়েছিলেন, তার সব নথি আমার কাছে রয়েছে।’’ একই সঙ্গে বন-সহায়ক নিয়োগের ওই প্যানেল বাতিল করে দিলে তাঁর কিছু আসে যায় না বলেও দাবি করেছিলেন রাজীব। তার পর মমতার উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দিতে চাই, কোন উচ্চ নেতৃত্ব সুপারিশ করেছেন, কালীঘাট থেকে কী সুপারিশ এসেছে, সব নথি তুলে রেখেছি। আপনি আলিপুরদুয়ারে আছেন। সেখানকার জেলা সভাপতির কাছ থেকে জেনে নিন, উনিও সুপারিশ করেছিলেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

mamata banerjee BJP TMC Rajib Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy