চুরি হওয়া সেই পাঁচলাখি হিরের আংটি। নিজস্ব চিত্র।
মূল্যবান হিরের আংটি চুরির তদন্তে নেমে বার বার ঠোক্কর খেতে হয়েছে পুলিশকে। অভিযুক্তের ফোন নম্বর থেকে ঠিকানা—কোনও কিছুই সঠিক ভাবে দিতে পারেননি ডোভার লেনের বাসিন্দা তথা দামি ওই আংটির মালিক অঞ্জলি মেহরা সাহা। কিন্তু তার পরেও, এক গ্রিন পুলিশের উপস্থিত বুদ্ধি এবং সূত্র কাজে লাগিয়ে মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যেই ওই আংটিটি উদ্ধার করে দিল গড়িয়াহাট থানার পুলিশ।
রবিবার অঞ্জলিদেবীর বাড়িতে পারিবারিক অনুষ্ঠান ছিল। সন্ধ্যার সময় তিনি লক্ষ করেন,তাঁর ঘর থেকে আংটিটি উধাও। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তিনি গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ জানান। এর পর গড়িয়াহাটের একটি শাড়ির দোকানের মালিক অঞ্জলিদেবীর আংটি উদ্ধারেলেগে পড়ে পুলিশ।
কী ভাবে উদ্ধার হল আংটি?
রবিবার ডোভার লেনে অঞ্জলিদেবীর বাড়িতে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে অন্যান্যদের মধ্যে এসেছিলেন তাঁরা বাবা সূর্যকান্ত মেহেরাও। বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে তিনি এক পরিচারিকাকেও সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর, অঞ্জলিদেবী দেখেন, তাঁর হিরের আংটিটি পাওয়া যাচ্ছে না।পুলিশ বিষয়টি জানার পর, ওই পরিচারিকা সীমা সর্দারের ঠিকানা জানতে চায়। সে বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য দিতে পারেননি অঞ্জলিদেবী। শুধুমাত্র একটি ফোন নম্বর দেওয়া হয় পুলিশকে। কিন্তু খতিয়ে দেখা যায়, নম্বরটি ওই পরিচারিকার নয়। কার্তিক সর্দার নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানা এলাকার এক ব্যক্তির। ওই একটি সূত্র ধরেই তদন্ত এগোতে থাকে। কিন্তু তাতে খুব একটা সুবিধা হচ্ছিল না।
আরও পড়ুন-শহরে ফের এটিএম জালিয়াতি, যাদবপুরে একের পর এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব
আরও পড়ুন-দূষণে দিল্লিকে টক্কর কলকাতার, মাসুল দিচ্ছে শরীর
ঘটনাচক্রে জানায় যায়, সত্যজিৎ হালদার নামে গড়িয়াহাট থানার এক গ্রিন পুলিশ কর্মীর বাড়ি ওই এলাকায়। সত্যজিৎ স্থানীয় এলাকায় খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু কার্তিক বা সীমা সর্দার নামে কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এক তদন্তকারীর কথায়, ‘‘সত্যজিতের তখন মাথায় আসে, মন্দিরবাজার থানা এলাকার কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকই কলকাতায় পরিচারিকার কাজে যান। তাঁদের মধ্যে কেউ নন তো? এর পর ফের নতুন করে সীমার খোঁজ শুরু হয়।’’
রবিবার রাত ১০টা নাগাদ একটি কলকাতা পুলিশের একটিবিশেষ দল মন্দিরবাজারপৌঁছয়। সূত্র মারফত, বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশির পর শেষ পর্যন্ত সীমার বাড়ি খুঁজে পায় পুলিশ। সীমা ওই আংটিটি একটি পুরনো একশো টাকার নোটের মধ্যে মুড়ে রেখেছিলেন। ওই রাতে কাউকে তিনি আংটি দেয়নি। তাঁকে জেরা করে জানা যায়, ওই এলাকাতে চোরাই মাল কেনার বাজার রয়েছে। সোমবার সকালে সেখানে তিনি তা বিক্রি করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই আংটি-সহ পরিচারিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গড়িয়াহাট থানার এক পুলিশ কর্মীর বক্তব্য, “বারবার সচেতন করা সত্ত্বেও পরিচারিকার বিষয়ে থানায় তথ্য দিতে অনিহা রয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। এ ক্ষেত্রেও তাই রয়েছে।ওই পরিচারিকার কোনও তথ্য থানায় জমা ছিল না। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আংটিটি উদ্ধার করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy