বিশেষ পদক্ষেপ লালবাজার পুলিশের।
কলকাতা পুলিশ এলাকায় স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা কত, সেই তালিকা এখনও তৈরি হয়নি। শেষ দফার নির্বাচনের দিন কলকাতা পুলিশ এলাকায় ভোটের জন্য কত বাহিনী আসবে, ঠিক হয়নি তা-ও। নির্বাচন কমিশনের তরফে এ দু’টি বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও জানানো হয়নি। তবে কলকাতা পুলিশ এখনই শহরের নির্বাচনী নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনা করে ফেলতে চাইছে। প্রতিটি থানাকে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন নির্দেশ পালন করানোর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী পর্যাপ্ত না এলে কী ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।
লালবাজার জানিয়েছে, কলকাতা পুলিশ এলাকায় বুথের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৭০০। ভোটকেন্দ্র থাকার কথা ১৫৮০টির মতো। প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না, তা ঠিক না হলেও সব জায়গাতেই সশস্ত্র বাহিনী যে থাকবে, এটা মোটের উপরে নিশ্চিত। এ ছাড়া, ‘হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড’ (এইচআরএফএস), ‘কুইক রেসপন্স টিম’ (কিউআরটি)-সহ নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনী থাকবে বলেই লালবাজারের কর্তাদের অনুমান। পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হবে ধরে নিলে ভোটের আগে ও পরে শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রায় দেড়শো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। ওই বাহিনীর সঙ্গেই কলকাতা পুলিশের বাহিনীকে ভোটের কাজে লাগানো হবে বলে সূত্রের খবর।
লালবাজারের এই তৎপরতার মধ্যেই সোমবার গভীর রাতে পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে শহরের ভোট-প্রস্তুতি নিয়ে কলকাতা পুলিশের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার রাজেশ কুমারের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। সূত্রের দাবি, লোকসভা নির্বাচন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে কলকাতা পুলিশ কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে প্রায় তিন ঘণ্টার ওই বৈঠকে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
লালবাজার সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক কমিশনারের কাছে জানতে চান, কলকাতা পুলিশের বাহিনীতে পুলিশকর্মীর সংখ্যা কত? কত জন পুলিশকর্মীকে ভোটের দিন ব্যবহার করা যাবে, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছিল কমিশনারের কাছে। পুলিশ কমিশনার রাজেশ কুমার বুধবার জানান, নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে রুটিন বৈঠক হয়েছে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের সঙ্গে।
সূত্রের দাবি, এখনও শহরের স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হয়নি। এ ছাড়া, কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ১৯ মে কলকাতা পুলিশ এলাকায় ভোটের জন্য আসবে, তা-ও নির্বাচন কমিশন লালবাজারকে জানায়নি। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, শান্তিপূর্ণ ভোট করার জন্য পুলিশ কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সেটিও পুলিশ পর্যবেক্ষক খুঁটিয়ে জানতে চেয়েছিলেন। পাশাপাশি, এখনও পর্যন্ত কত জন অপরাধী বা দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয়েছে, তা-ও জানতে চাওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy