আলিপুরদুয়ারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি
দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে ফের কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে কর্মিসভায় যোগ দিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, যাঁরা ভোগী, তাঁরাই দল ছেড়ে যাচ্ছেন। যাঁরা যাবেন, চলে যান। প্রকৃত তৃণমূল কর্মীরা কেউ ভোগী নন। তাই তাঁরা দল ছেড়ে যাবেন না।’’ রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প তৃণমূল সরকারই করেছে বলেও দাবি করেন মমতা।
বিজেপিকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওরা শুধু ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দেয়, আর ভোট হলেই পালিয়ে যায়। সাধারণ মানুষের জন্য কিছুই করে না। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একটা ট্রেনের ব্যবস্থা করতে পারলেন না, আর দুর্নীতিবাজদের চাটার্ড ফ্লাইটে করে নিয়ে যাচ্ছেন।’’
মমতার বক্তব্য:
১.৩০: নারায়ণী সেনার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গিয়েছে। প্রচুর মানুষের চাকরি হবে। আপনারা মনে রাখবেন, আগামী ৭-৮ দিনের মধ্যেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাবে। আপনারা ভাল থাকবেন। বিজেপি হল ওয়াশিং মেশিন। দুর্নীতিবাজ, চোর, দুষ্কৃতী সব বিজেপিতে যাচ্ছে আর সাফ হয়ে চলে আসছে। আর বলছে বিজেপি জিতবে। বিজেপি কোনও দিন জিতবে না। তৃণমূলই জিতবে।
১.২৫: কেউ কেউ ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। ভোটের পর বুঝতে পারবে তারা। সবাই বলবে মুখপোড়া বিজেপি। আমরা কর্মসংস্থান ৪০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি। আমদের বাজেট আছে শুক্রবার। কেন্দ্রীয় সরকার যে বাজেট করেছে, সেটা জনবিরোধী। কেরোসিন, পেট্রোল, ডিজেলে সেস বাড়িয়ে দিয়েছে। ৮ দফা তেলের দাম বাড়িয়েছে। আরও বাড়াবে। বিজেপি আম জনতার পার্টি নয়। বড়লোকদের পার্টি।
১.২২: কেউ কেউ এদিক-ওদিক দৌড়ে বেড়াচ্ছে। যে দুর্নীতি করেছে, সে তো পালিয়ে যাবেই। আমি সব জানি, কে কী করেছে। বিধানসভা ভোটের পর দেখে নেব। একটাও আসন পাবে না বিজেপি। সিপিএম-কংগ্রেস কয়েকটা আসন পাবে। আমরা একটাই লক্ষ্য, বিজেপিকে বাংলা থেকে তাড়াব।
১.২০: বাংলায় কোনও বিভেদ নেই। পাহাড়ের জনজাতি, আদিবাসী, সবাই আমরা এক হয়ে এখানে কাজ করি। তৃণমূল সরকার গড়লে আপনাদের বিনা পয়সায় রেশন মিলবে, শিক্ষা মিলবে, চিকিৎসা মিলবে, বেতন বাড়বে। জীবনযাত্রা আরও উন্নয়ন হবে। কিন্তু বিজেপি শুধু মিথ্যে কথা বলে। ভোটের পরে পালিয়ে যায়। কী বলেছিল? উত্তরবঙ্গকে সোনার বাংলা করে দেব। আমরা সোনার বাংলা চাই না। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান চাই। বিজেপি কিছুই করে না, শুধু বড় বড় কথা বলে। উত্তরবঙ্গের মানুষকে জমির পাট্টা দিয়েছি। আপনারা পাট্টা পেয়েছেন কি পাননি? যত উদ্বাস্তু কলোনিকে আমরা পাট্টা দিচ্ছি। সবাই পাট্টা পাবে, হয়তো কিছুটা সময় লাগবে, কিন্তু সবাই পাবেন।
১.১৫: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আমরা করছি। কয়েক দিনের মধ্যেই নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাবে। কিন্তু এখনও যাঁরা কার্ড পাননি, তাঁদের জন্য একটা বিকল্প কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই কার্ড দেখিয়েই বিনা পয়সায় চিকিৎসা করতে পারবেন।
১.১০: আমরা কালকেও চা বাগানের শ্রমিকদের বাড়ি দিয়েছি। বিনা পয়সায় রেশন চাইলে তৃণমূলকে ভোট দিন, এত দিন বিনা পয়সায় রেশন দিয়েছি, আবারও তৃণমূল ক্ষমতায় থাকবে। বিনা পয়সায় রেশনও দেওয়া হবে। আমরা প্রতিদিন আড়াই লক্ষ স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দিচ্ছি, যাঁরা কার্ড পাননি, বায়োমেট্রিক হয়ে গেলে তাঁরা স্বাস্থ্যসাথীর মতো সুবিধা পাবেন।
১.০৫: যাঁরা লোভী-ভোগী, আমরা তাড়ানোর আগেই তাঁরা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তৃণমূলে থেকে এটা করা যাবে না। তৃণমূলের টিকিটের জন্য় কাউকে দরবার করতে হবে না। পাঁচ বছর যাঁরা সাধারণ মানুষের কাজ করেছেন, সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন, তাঁরাই টিকিট পাবেন। দল তাঁদের খুঁজে নেবেন। আর একটা কথা মনে রাখবেন, নেতারা নয়, দলের আসল সম্পদ কিন্তু দলের কর্মীরা। তাঁরাই দলকে আগলে রাখেন। ভোটার লিস্ট দেখেন, কাউন্টিং-এ থাকেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy