পানশালায় গোলমালের খবর পেয়েই কলকাতা থেকে ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই গোলমালের তদন্তে তাঁর নাম পেয়েই তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তাঁর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে জানা যায়, দিল্লির একটি হোটেলে আত্মগোপন করে রয়েছেন তিনি।
তাঁকে ধরতে জাল বিছিয়ে দেন গোয়েন্দারা। জানা যায়, বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষছেন তিনি। সে সুযোগ আর মেলেনি অবশ্য। রবিবার সকালে দিল্লির একটি হোটেলের ঘর থেকে সেই ব্যবসায়ী জগজিৎ সিংহকে গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিশ। এ দিনই তাঁকে দিল্লির একটি আদালতে তোলা হয়। তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোলমালের পরে অভিযুক্তদের আশ্রয় দেওয়া ও পালিয়ে যাওয়ার পিছনে ভূমিকা ছিল ধৃত ওই ব্যবসায়ীর। এর পরেই ওই ব্যবসায়ীর খোঁজ শুরু হয়। দিল্লির হোটেল থেকে ওই ব্যবসায়ীকে ধরার জন্য জাল বিছিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু আচমকাই বিশেষ সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, সিঙ্গাপুরে পালানোর ছক কষছেন জগজিৎ। এমন খবর পেতেই তাঁকে গ্রেফতারের প্রস্তুতি নেয় পুলিশ। বিধাননগরের গোয়েন্দা দফতরের একটি দল দিল্লিতে পৌঁছয় ।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, জগজিৎ সিংহ একটি বেসরকারি সংস্থার কর্ণধার। সেই সংস্থার আওতাতেই রয়েছে সল্টলেকের ওই পানশালাটি। এ ছাড়াও কলকাতা, ব্যারাকপুর, বর্ধমানেও ওই সংস্থার একাধিক পানশালা রয়েছে।
অভিযোগ, বাম আমল থেকেই পানশালা ব্যবসায় পসার বাড়ে জগজিতের। রাজ্যে পালা বদলের পরে নতুন জমানার বহু নেতা-নেত্রীর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা হয় তাঁর। সেই সুবাদেই রাতারাতি পূর্ব কলকাতা পানশালা ব্যবসায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেন ওই ব্যবসায়ী। যার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয় না বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এই অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ অবশ্য জানায়, এর আগে ২০১৫-তে থানায় গোলমাল, পুলিশকে মারধর ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি ঘটনার তদন্তে ওই ব্যবসায়ীর নাম জড়িয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।
সল্টলেকের এই পানশালা নিয়ে ফের গোলমাল প্রকাশ্য আসতেই পুলিশের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। পানশালার গোলমালে এই নিয়ে মোট চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বিধাননগরের এক পুলিশকর্তার কথায়, পানশালাকে কেন্দ্র করে দৌরাত্ম্য বরদাস্ত করা হবে না। ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, সে সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy