প্রতীকি ছবি। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে লি রোডের বাসিন্দা গয়না ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদের মৃত্যুরহস্য। সোমবার রাতে বাড়ি থেকে খানিক দূরের একটি অতিথিশালার দরজা ভেঙে, তাঁর নগ্ন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সময় গলায় প্যাঁচানো ছিল টেলিফোনের তার। কলকাতার গয়না ব্যবসায়ীকে কি খুন করা হয়েছে? হত্যাকারী কে? এ সব প্রশ্নেই আপাতত মগ্ন লালবাজার।
পুলিস সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে ২০ নম্বর লি রোডের বাড়ি থেকে পাড়ায় পান খেতে বেরিয়েছিলেন ষাটোর্ধ্ব শান্তিলাল। তার পর থেকেই নিখোঁজ। সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিট নাগাদ শান্তিলালের ছেলের মোবাইলে ফোন আসে। শান্তিলালের মোবাইল থেকেই। বলা হয়, ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছে। ২৫ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। পুলিশকে জানালে শান্তিলালকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়। শান্তিলালের পরিবারের তরফে তখন জানানো হয়, দ্রুত এত টাকা জোগাড় করবেন কী করে? অপহরণকারী জানায়, শান্তিলালের বেশ কিছু আপত্তিকর ছবি তাঁর কাছে আছে। টাকা দিতে দেরি করলে সেই ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হবে। অপহরণকারীর সঙ্গে মোট ২১ মিনিট কথা হয় শান্তিলালের পরিবারের। সেই সময় শান্তিলালের ছেলের পাশাপাশি কথা বলেন তাঁর স্ত্রীর সঙ্গেও।
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা জোগাড় করে রাত ১০টা নাগাদ ভিক্টোরিয়া দক্ষিণ গেটের সামনে যান শান্তিলালের পরিবারের সদস্যরা। সেখানে অপহরণকারীকে টাকা দেন তাঁরা। অপহরণকারীরা শান্তিলালের ফোন ফিরিয়ে দিয়ে জানায়, আধ ঘণ্টার মধ্যে শান্তিলাল যোগাযোগ করে নেবেন। কিন্তু তিনি না ফেরায় ভবানীপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ শান্তিলালের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের সাম্প্রতিক ইতিহাস দেখে পার্ক স্ট্রিট, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এলাকায়। সেই সূত্রেই তারা ভবানীপুরের ওই অতিথিশালাতেও পৌঁছয়। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় শান্তিলালেল নগ্ন দেহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy