কলকাতা পুলিশ কমিশনার হলেন মনোজ বর্মা। —ফাইল ছবি।
দীপাবলির সময়ে শহরে নিষিদ্ধ বাজির তাণ্ডব রুখতে বহুতলগুলিকে নজরে রাখছে লালবাজার। মঙ্গলবার ময়দানে বাজি বাজার পরিদর্শনে গিয়ে এমনই জানালেন কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা। বিধি ভাঙার ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু নগরপালের আশ্বাসের পরেও বাজির তাণ্ডব আটকানো যাবে কি? প্রশ্ন থাকছেই।
প্রতি বছরই শহরের বহুতলগুলি থেকে নিষিদ্ধ বাজি ফাটানোর অভিযোগ ওঠে। কসবা, ই এম বাইপাস এবং কলকাতা পুলিশের সংযুক্ত এলাকায় রাত বাড়লেই শব্দবাজির দাপট বাড়ে বলে অভিযোগ। এই দৌরাত্ম্য রুখতেই এ বছর বহুতলগুলিতে বাড়তি নজর রাখছে লালবাজার। পাশাপাশি, শহরের বিভিন্ন বাজার এলাকায় যাতে কোনও ভাবে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি না হয়, তার জন্যও বিশেষ নজরদারি চলছে। এ দিন বাজি বাজার পরিদর্শনে গিয়ে নগরপাল বলেন, ‘‘বাজি যাঁরা তৈরি বা বিক্রি করেন, তাঁদের সঙ্গে এর আগে আমরা একাধিক বার বৈঠক করেছি। তাঁদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ দিন নির্দেশ মেনে সবুজ বাজি বিক্রি হচ্ছে কিনা, তা দেখা হয়। নিষিদ্ধ বাজি রুখতে ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। বাজি বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে।’’ বহুতলগুলিতে শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে নগরপাল বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ নজরদারি চালাবে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ ময়দানে শহিদ মিনার সংলগ্ন বাজি বাজারে পৌঁছন নগরপাল। বাজি বাজারের প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখেন তিনি। এমনকি, স্টলে ঢুকে বাজির প্যাকেটের কিউআর কোড স্ক্যান করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ দিন বিকেলে আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সেও বৈঠক করেন নগরপাল। বৈঠকে বাজি এবং ডিজে-র দৌরাত্ম্য রুখতে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, নিচুতলার পুলিশকর্মীদের সমাজমাধ্যমে কোনও কিছু পোস্ট করার ক্ষেত্রেও সতর্ক করেন তিনি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পাটুলি থানার ওসি-র সমাজমাধ্যমের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক ছড়িয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy