ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা ‘দিদিকে বলো’ ওয়েবসাইটে অভিযোগ জানানো হয়েছিল, পুলিশ ঘুষ নিচ্ছে। এক দফা টাকা নেওয়ার পরে আরও চাওয়া হচ্ছে! সেই অভিযোগ পৌঁছয় পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার কাছে। তার পরেই নড়ে বসে লালবাজার। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে আপাতত কাজে যোগ দিতে বারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, অভিযোগকারী যুবককে মুচিপাড়া থানায় ডেকে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। থানায় তখন উপস্থিত ছিলেন পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। ডিসি (সেন্ট্রাল) সুধীরকুমার নীলাকান্তম বলেন, ‘‘বিভাগীয় তদন্ত চলছে। গাফিলতি প্রমাণিত হলে ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
সম্প্রতি ‘দিদিকে বলো’ ওয়েবসাইট এবং ‘দিদিকে বলো’ ইমেল আইডি-র মাধ্যমে বেহালার বাসিন্দা শরৎচন্দ্র দে অভিযোগ করেন, তাঁর দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে ছাড়াতে ১৫ হাজার টাকা চেয়েছিল পুলিশ। তিনি ছ’হাজার দেওয়ার পরে আরও সাত হাজার চাওয়া হয়। থানার মালখানাবাবু এবং গাড়িটি বাইরে থাকাকালীন যাঁরা দেখাশোনা করেছেন, তাঁদেরও এক হাজার করে দিতে হবে বলে দাবি করেন থানার এক পুলিশকর্মী। শরৎচন্দ্র বলেন, ‘‘অ্যাপ-ক্যাব চালিয়ে সংসার চলে। শ্বশুরের ক্যানসার। কাউকেই ঘুষ দেওয়ার মতো টাকা নেই।’’ এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘বিষয়টির সব দিক থেকে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
বৃহস্পতিবার ঘুষের খবর প্রকাশ্যে আসতেই মুচিপাড়া থানার ডাকে সেখানে যান শরৎচন্দ্র। থানায় তখন এক জন ডিসি উপস্থিত ছিলেন বলে শরৎচন্দ্রের দাবি। তদন্তকারীরা তাঁর সব কথা শুনে থানায় নতুন করে অভিযোগ দায়ের করতে বলেন। শরৎচন্দ্র বলেন, ‘‘অভিযোগে সব কথা লিখেছি। ডিসি সাহেব বলেছেন, যে অফিসার টাকা চেয়েছিলেন, তাঁকে এখন থানায় আসতে বারণ করা হয়েছে।’’
থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের উপরে এক জন পদস্থ কর্তাকে রেখে অভিযোগের তদন্ত করতে বলেছেন কমিশনার। বিষয়টি নিয়ে তিনি রিপোর্ট চেয়েছেন। ‘দিদিকে বলো’ ওয়েবসাইট ও ইমেলে যে অভিযোগ জমা পড়েছে, তার প্রতিলিপিও তলব করেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy