শহরে ডেঙ্গিতে মৃত্যু। —ফাইল ছবি
ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে আবারও মৃত্যু কলকাতায়। রবিবার রাতে ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্ত এক মহিলার। মৃতার নাম শর্মিলা চট্টোপাধ্যায় (৫৯)। তিনি হরিদেবপুরের বাসিন্দা ছিলেন। ডেঙ্গিতে রাজারহাটেও এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সোমবার সকালে মারা গিয়েছেন বছর কুড়ির শেখ ফিরোজউদ্দীন।
শর্মিলা চট্টোপাধ্যায়ের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বর অবস্থায় তাঁকে প্রথমে টালিগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। সেখান থেকে রবিবার বিকেলে শর্মিলাকে স্থানান্তরিত করা হয় ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। রবিবার রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। শংসাপত্রে মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে।
অন্যদিকে রাজারহাটের যুবক গত শনিবার আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। প্লেটরেট কম থাকায় তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
বর্ষায় রাজ্য জুড়ে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। রীতিমতো চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। যা নিয়ে উদ্বেগে স্বাস্থ্য দফতরও। রবিবার রাত পর্যন্ত রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২৫১। শনিবারের হিসাব অনুযায়ী, রাজ্যে এক দিনে মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৯২ জন। তাঁদের মধ্যে ৯১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল উত্তর ২৪ পরগনায়। ওই জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬০ জন।
শুধু সরকারি নয়, রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও প্রায় প্রতি দিনই কয়েক জন করে মশাবাহিত এই সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির চিকিৎসার আদর্শ চিকিৎসাবিধি সম্পর্কে ইতিমধ্যেই সরকারি চিকিৎসকদের অবগত করা হয়েছে। প্রতিটি ব্লাড ব্যাঙ্কে প্লেটলেট মজুত রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি, রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে যৌথ ভাবে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন পুরসভার সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে। এলাকায় যাতে কোনও ভাবেই জল জমে না থাকে তার জন্য সচেতনতার প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy