আতসবাজি প্রদর্শনীর মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে ব্যাঙ্কক। ছবি: রয়টার্স।
স্বাগত ২০২৩। গোটা বিশ্বের সঙ্গে কলকাতাও সঙ্গী হল নতুন বর্ষবরণে। শনিবার বর্ষশেষের দিনে আলো ঝলমল পার্ক স্ট্রিট, উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা ইকো পার্ক, চিড়িয়াখানা থেকে শীতের ময়দান— উৎসবমুখর শহরে নতুন নতুন উৎসবের ব্যঞ্জনা ছিল। মিঠে রোদ পিঠে মেখে চিড়িয়াখানা, ইকো পার্ক, ভিক্টোরিয়ায় যে যাত্রার শুরু, পার্ক স্ট্রিটে সেই ভিড়েই বর্ষবরণ। বছর শেষের উন্মাদনার টগবগে ঘোড়ায় সওয়ার কলকাতাও।
এই উৎসবের স্বাদ নিতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে কলকাতা এসেছেন নাজ়ির আলি। সঙ্গে ৮ বছরের ছোট ছেলে। ছেলের আবার বেলুনের শখ। এশিয়াটিক সোসাইটির সামনে বেলুনওয়ালার কাছ থেকে কেনা ৩০ টাকার বেলুন নিয়ে আট পা-ও এগোতে পারেনি ছোট্ট আজহার। ধাক্কাধাক্কিতে বেলুন গেল ফেটে! এত ভিড়ে ভ্যাবাচাকা আজাহারের হাসি শুকিয়ে কাঠ। তার মধ্যেই সাদা দাড়ি আর লাল পোশাকে কারা যেন দলবেঁধে এসে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ জানিয়ে গেল। হাতে তুলে দিল একটা মস্ত টোপলা। খুলেই আজহারের কাঠমুখ বদলে গেল হাসিতে। ও মা, এ যে বুড়ির চুল! খানিক খেল, খানিক লাগল কচি মুখে। হাসি ফিরেছে সেটাই তো বড়।
পার্ক স্ট্রিটেরই নামী রেস্তরাঁ তথা পানশালায় দীর্ঘ দিন কাজ করছেন গড়িয়া বোড়ালের সুব্রত, বহরুর দীনেশ, ডানলপের সুকুমার। বছর শেষের দিনের দিকে সারা বছর চেয়ে থাকা। সে দিনই যা একটু উপরি পাওয়া যায়। ভরা পকেটে বছর শুরুর মজা সুব্রত, দীনেশরা বোঝেন ষোলো আনা।
বর্ষবরণের পার্ক স্ট্রিটে আজ আনন্দের হট্টমেলা। একই ছবি গঙ্গার ঘাটেও। ভারতীয় সময় বিকেল নাগাদ নিউজ়িল্যান্ডে নতুন বছর শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠিক সেই সময়ই প্রিন্সেপ ঘাটে তিলধারণের জায়গা নেই। সকলেই চান বছরের শেষ সূর্যাস্তের সাক্ষী থাকতে। পুরনো বছরকে আলবিদা আর নতুনকে আপন করে নিতে ব্যস্ত সাত থেকে সত্তর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy