অভিযুক্ত বাপি ভট্টাচার্য় ও উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্র। —নিজস্ব চিত্র।
বাস-ট্রাম মায় ভিড় রাস্তাতেও চলাফেরার সময় অনেকেই সতর্ক থাকেন পকেটমারের ভয়ে। কিন্তু অভিজাত শপিং মলে? সাধারণত শপিং মলে কেনাকাটার সময় যে ব্যাগ চুরি হতে পারে বা পকেট কাটা যেতে পারে এমনটা অনেকেই ভাবেন না। অথচ গত কয়েক মাস ধরে কয়েক শো সিসি ক্যামেরাতে মোড়া পার্ক সার্কাসের একটি নামী শপিং মলে যাওয়া লোকজন একের পর এক অভিযোগ জানাচ্ছিলেন কড়েয়া থানায়।
এঁদের অভিযোগ, শপিং মলে কেনাকাটার ফাঁকে কেউ তাঁদের ব্যাগ নিয়ে চম্পট দিয়েছে। শপিং মলের একের পর এক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা শেষে চিহ্নিত করেন এক মধ্যবয়সী ব্যক্তিকে। জানা যায় তার বাড়ি হরিদেবপুরের কবরডাঙা এলাকায়। রবিবার রাতেই পুলিশ পাকড়াও করে অভিযুক্ত বাপি ভট্টাচার্যকে।
তার ভাড়া বাড়িতে তল্লাশি করে হদিশ মেলে প্রায় ১৪টি চোরাই মোবাইল, নগদ টাকা এবং সোনার গয়নার। তাঁকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাস-ট্রাম-রাস্তা নয়, বাপির ‘মৃগয়া ক্ষেত্র’ শহরের বিভিন্ন শপিং মল। কলকাতার বিভিন্ন শপিং মলে অসতর্ক ক্রেতার ব্যাগ নিয়ে চম্পট দিত। জানা গিয়েছে, বাপির এই শপিং মলে ‘অভিযান’-র অভিজ্ঞতা অনেক বছরের। তবে, কলকাতায় নয়। মুম্বইতে। কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মুম্বইতে এক দশকের বেশি সময় ধরে শপিং মলে পকেট কাটত বাপি। অনেক বার গ্রেফতার হয়েছে। ইদানীং মুম্বইতে সবাই চিনে ফেলায় সুবিধে করতে পারছিলেন না। তাই কলকাতায় চলে আসেন।”
আরও পড়ুন: স্তব্ধ না হলেও শম্বুক গতি, টালা সেতুর চাপ সামলাতে হিমশিম পুলিশ
এলআইসি শেয়ারের প্রতিবাদে পথে কর্মচারীরা, কাল কর্মবিরতি দেশ জুড়ে
কলকাতায় এসেও পুরনো অভ্যাসে শপিং মল বেছে নেন বাপি। তবে মোবাইলের ব্যাপারে খুব সতর্ক বাপি। চোরাই ব্যাগের সঙ্গে মোবাইল চলে এলে, তা খুলে বাড়িতে রেখে দিত । কখনও ভুলেও ব্যবহার বা বিক্রি করত না। জেরায় বাপি পুলিশকে জানিয়েছেন, মোবাইল বিক্রি করলে ধরা পড়ার সম্ভবনা থাকে। তাই তিনি সবসময় মোবাইল থেকে দূরে থাকেন।
বাপির ধরা পড়ার ঘটনা চোখ খুলে দিয়েছে পুলিশেরও। এক গোয়েন্দা কর্তা বলেন, ‘‘আমরা শপিং মলের নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে বৈঠক করব যাতে সিসি ক্যামেরায় লাইভ নজরদারি বাড়ানো যায় এবং এ ধরনের সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করা যায়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy