বড়দিন উৎসবের জন্য সেজে উঠেছে পার্ক স্ট্রিট। ফাইল চিত্র।
করোনা পরিস্থিতিতে বড়দিন এবং বর্ষবরণের উৎসবে ভিড় যেমনই হোক, নিজেদের প্রস্তুতিতে খামতি রাখতে চাইছে না লালবাজার। রাস্তায় বেরোলেও সকলে যাতে করোনা-বিধি মেনে চলেন, সে ব্যাপারে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এর পাশাপাশি, মত্ত চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে তারা।
বড়দিনের ভিড় সামলাতে পার্ক স্ট্রিট থেকে মল্লিকবাজার মোড় পর্যন্ত অংশকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করেছে পুলিশ। ডিসি পদমর্যাদার পাঁচ জন অফিসার ওই পাঁচটি ভাগের দায়িত্ব সামলাবেন। আর এক জন থাকবেন সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালের নিরাপত্তার দায়িত্বে।
ডিসি-রা ছাড়াও শুধুমাত্র পার্ক স্ট্রিট চত্বরেই থাকছেন চার জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার। এ বার পার্ক স্ট্রিট মোড়েই তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকেই পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকার ভিড়ের উপরে নজরদারি চালাবে পুলিশ। পার্ক স্ট্রিট, সংলগ্ন এলাকা ও শহরের অন্যান্য অংশে নজরদারির জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে মোট পাঁচ হাজার পুলিশকর্মীকে। থাকছে হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড, রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড এবং ১০০টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র। ১১টি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকার নজরদারিতে।
২৫ ডিসেম্বর বিকেল ৪টের পর থেকে পার্ক স্ট্রিটে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। আজ, ২৪ ডিসেম্বর রাত ৯টার পর থেকেই শহর জুড়ে শুরু হবে নাকা তল্লাশি। বিশেষ করে শহরে ঢোকা এবং বেরোনোর মোড়গুলিতে ওই তল্লাশি চালানো হবে। শহর জুড়ে তৈরি হচ্ছে ৯১টি পুলিশ পিকেট। সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালের পাশাপাশি শহরের ছোট-বড় সব গির্জাতেই পুলিশি নজরদারি থাকবে। সেই সঙ্গে মেট্রো স্টেশন ও শপিং মলগুলিতেও চলবে নজরদারি। বিশেষ ভাবে নজর রাখা হবে শহরের বিভিন্ন পানশালা, রেস্তরাঁ ও ক্লাবে। যাতে বড়দিনের রাতে ওই সব জায়গা থেকে মত্ত অবস্থায় বেরিয়ে কেউ কোনও অভব্য আচরণ না করেন। এক পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন, করোনা আবহের কথা মাথায় রেখে সব ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।
লালবাজার জানিয়েছে, বেপরোয়া এবং মত্ত চালকদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাত থেকেই বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। ওই দিন রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত শহরের ২৫টি জায়গায় অভিযান চালিয়ে ২৬ জন চালকের বিরুদ্ধে মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো এবং ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: জ্যান্ত পোড়ানোয় কি মৃত্যু কঙ্কাল-কাণ্ডে
আরও পড়ুন: আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সরকারি কৌঁসুলির
পুলিশ সূত্রের খবর, করোনার ভয়ে ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার দিয়ে পরীক্ষা বন্ধ। তাই এখন কোনও চালককে দেখে সন্দেহ হলে তাঁকে আটক করে প্রথমে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার পরে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে হাসপাতালে। চিকিৎসক পরীক্ষার রিপোর্ট দিলে তা দেখে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy