কলকাতা এবং দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় জমা জলের সমস্যা মেটাতে জমি দিল রেল মন্ত্রক।
কলকাতা পুরসভার তিনটি ওয়ার্ড এবং দক্ষিণ দমদমের ছ’টি ওয়ার্ডে জমা জলের যন্ত্রণা দূর করতে ছ’বছর আগে একটি পাম্পিং স্টেশন তৈরির প্রকল্প অনুমোদন পায়। প্রকল্প তৈরির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল জমি। বাগজোলা খাল সংলগ্ন অজয়নগর সেতুর কাছে প্রকল্পের যে জমি চিহ্নিত হয়েছিল, সেটি রেলের। দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রের খবর, সম্প্রতি রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, পাম্পিং স্টেশন নির্মাণে দীর্ঘমেয়াদি লিজে জমি দিতে আপত্তি নেই রেলের।
বৃষ্টির সময়ে বীরপাড়া পাম্পিং স্টেশনের সাহায্যে কলকাতা পুরসভার ৩, ৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড় অংশের জল নামানো হয়। পাম্পিং স্টেশন থেকে লালাবাবু নিকাশি নালা হয়ে সেই জল পড়ে বাগজোলা খালে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার এক আধিকারিক জানান, প্রতি বছর নিকাশি নালার অতিরিক্ত জলের তোড়ে ছ’টি ওয়ার্ডের জমা জল পুরসভার মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়ায়। জল নামতে দু’দিনও লেগে যেত। গত কয়েক বছরে পুর এলাকায় ডেঙ্গির সংক্রমণ রোধে নাজেহাল হয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। সে দিক থেকে পাম্পিং স্টেশন প্রকল্পের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রকল্পের পথে বাধা হয়ে়ছিল জমি।
কলকাতা পুরসভার এক নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা জানান, ২০১২ সালে কেইআইআইপি-র (কলকাতা এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্রুভমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম) অন্তর্গত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের টাকায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। কিন্তু রেল জমির জন্য পাঁচ কোটি টাকা চায়। এ দিকে, যে প্রকল্পে পাম্পিং স্টেশনটি হবে, তার নিয়মে পুনর্বাসনের সংস্থান থাকলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনও জায়গা নেই। ফলে জটিলতা তৈরি হয়। এ নিয়ে তিন বছর আগে দক্ষিণ দমদমের পুরপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সম্পত্তি করের অস্ত্রে বার হয় সমাধানসূত্র।
দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রের খবর, সম্পত্তিকর বাবদ রেলের থেকে পাওনা প্রায় ১০ কোটি টাকা মকুব করেন পুরপ্রধান। এর পরেও রেল সম্মত না হলে দমদমের সাংসদ সৌগত রায় বিষয়টি নিয়ে রেলমন্ত্রীকে চিঠি দেন। তার উত্তরেই রেলের সম্মতির কথা জানা যায়। মেয়রের দফতরেও চিঠির প্রতিলিপি গিয়েছে।
তরুণবাবু বলেন, ‘‘প্রকল্প রূপায়ণে রেল সবুজ সঙ্কেত দিলে খুবই ভাল খবর। দীর্ঘদিনের জট কাটল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy