বহাল: রাস্তার পাশের গাছের চার দিকে এখনও রয়েছে বেদি। বৃহস্পতিবার, ডাফরিন রোডে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
গাছের গোড়া কোথায় বেআইনি ভাবে বাঁধানো রয়েছে, তা দেখা পুর আধিকারিকদের কাজ। কিন্তু তাঁরা ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে’ সে দায়িত্ব পালন করেননি! গাছের বেদি ভাঙা প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভাকে এ ভাবেই ফের ‘তুলোধনা’ করল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের তরফে এ-ও বলা হয়েছে, আগামী ২৯ নভেম্বরের মধ্যে শহরের যেখানে যেখানে গাছের বেদি এখনও রয়েছে, তা পুরো ভাঙতে হবে। সে সংক্রান্ত রিপোর্টও হাইকোর্টে জমা দিতে হবে পুরসভাকে।
গত জুলাইতেই গাছের বেদি ভাঙার জন্য একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে সংক্রান্ত কাজ কত দূর এগোচ্ছে, তা-ও পুরসভাকে জানাতে বলা হয়েছিল। গত সপ্তাহেই হাইকোর্টে দাখিল করা রিপোর্টে পুরসভা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৮৬৮টি গাছের বেদি ভাঙা হয়েছে শহরে। যার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জানিয়েছে, অনেক বেদি ভাঙা বাকি রয়েছে! নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা ভেঙে ফেলতে হবে। শুধু তাই নয়, হাইকোর্টের তরফে এ-ও বলা হয়েছে, গাছের চার দিকে বেআইনি নির্মাণ উঠছে কি না, সেটা দেখা পুর আধিকারিকদের কাজ। কিন্তু তার পরিবর্তে যে ভাবে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে বিষয়টি নিয়ে আধিকারিকদের ‘অ্যালার্ট’ করতে হয়েছে, তা সত্যিই ‘বিস্ময়কর’!
যে বেসরকারি সংস্থার তরফে ওই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে, সেই সংস্থার পক্ষে বনানী কক্কর জানান, পুরসভা তাদের কাছেই জানতে চাইছে কোন কোন রাস্তায় এখনও বেদি রয়েছে! তাঁর কথায়, ‘‘অথচ বহু জায়গায় পুরসভা নিজেই গাছের বেদি বাঁধিয়েছে! তারই হিসেব নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy