—ফাইল চিত্র।
পানীয় জলের জায়গা ‘স্পর্শকাতর’। তাই সব বুস্টার পাম্পিং স্টেশনে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। হাতে গোনা কয়েকটি বুস্টার পাম্পিং স্টেশনে আগেই নিরাপত্তারক্ষী ছিল, তবে সশস্ত্র নয়। এ বার প্রথম সর্বত্র সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, সম্প্রতি মেয়র পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুরসভার বুস্টার পাম্পিং স্টেশনগুলির জন্য ৩০ জন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হবে। এত দিন শুধুমাত্র কালীঘাট, বেহালা, গরফা ও গল্ফ গ্রিন— এই চারটি বুস্টার পাম্পিং স্টেশনে নিরাপত্তারক্ষী ছিল। এ বার গার্ডেনরিচ জল প্রকল্পের অধীনের জি জে খান, সিরিটি, দাসপাড়া, গাঁধী ময়দান, সেনপল্লি, প্রফুল্ল পার্ক, লায়েলকা, পর্ণশ্রী, হরিশ পার্ক-সহ ১৫টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশনেই দু’জন করে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হবে। এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, ‘‘এত দিন মাত্র কয়েকটিতে নিরাপত্তারক্ষী ছিল। এ বার একটা সার্বিক নিয়ম করা হল। তাই সব জায়গায় সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’
এমনিতে বরাবরই টালা ট্যাঙ্কের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে রয়েছে। সে বিষয়টি আলাদা। পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনের দ্বিতীয়ার্ধ অর্থাৎ বিকেল থেকে রাত, এই সময়ে বুস্টার পাম্পিং স্টেশনগুলির নিরাপত্তা বাড়াতে চাইছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
তাই সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীর কথা
ভাবা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে গার্ডেনরিচ জল প্রকল্পের ক্ষমতা দৈনিক ১৮৫ মিলিয়ন গ্যালন। কিন্তু দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে এখনও পরিশ্রুত জলের পরিকাঠামো সম্পূর্ণ গড়ে না ওঠায় সেই ক্ষমতা আরও ২৫ মিলিয়ন গ্যালন বাড়াতে চলেছে পুরসভা। সেই প্রকল্পেরও কাজ চলছে। কাজ কতদূর এগিয়েছে, সে ব্যাপারে মেয়র ফিরহাদ হাকিম সম্প্রতি পুর ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠকেও বসেন বলে পুরসভা সূত্রের খবর। ছোট ছোট জলাধার তৈরি করে পরিশ্রুত জলের নেটওয়ার্ককে শহরজুড়ে ছড়িয়ে দিয়ে যাতে ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার বন্ধ করা যায়, সে ব্যাপারে ফিরহাদ প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছেন আধিকারিকদের। এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, ‘‘নতুন মেয়র চাইছেন ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করতে। তাই পানীয় জলের নেটওয়ার্ক তৈরির কাজ কত দূর এগিয়েছে, সে নিয়ে পর্যালোচনার জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর বৈঠক হচ্ছে। বুস্টার পাম্পিং স্টেশনগুলির নিরাপত্তার দিকেও বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে।’’
তবে পানীয় জলের জায়গাগুলির নিরাপত্তার দিকে যে পুর প্রশাসন বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল কয়েক মাস আগেই। যখন ধাপার জয় হিন্দ প্রকল্পের সুরক্ষায়
তার ভিতরে পুলিশ আউটপোস্ট করার প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। যদিও সেই প্রস্তাব কত দূর কার্যকর হয়েছে, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানেন না পুরকর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy