ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
নিকাশির জল শোধন করে অন্য কাজে লাগানো হবে। এমনই জানালেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শনিবার কলকাতা পুরসভায় এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। এর পর কলকাতা পুরসভার অধিবেশনেও এই প্রসঙ্গে নতুন এক প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তির কথা জানিয়েছেন মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহ।
নতুন এই প্রযুক্তিতে নিকাশির জলকে শোধন করে কলকাতা পুরসভার রাস্তা বা গাড়ি ধোয়া ও গাছের পরিচর্যা করতে ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র। আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে কলকাতার দু'টি জায়গায় এই জল শোধন করার কাজ হবে। দক্ষিণ কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় জল শোধনের জন্য প্লান্ট বসানো হবে। আর ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের কাছের একটি জায়গায় প্লান্ট বসিয়ে এই জল শোধনের কাজ হবে। পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে আপাতত এই কাজ শুরু করা হচ্ছে। পাইলট প্রোজেক্টে সাফল্য এলে সারা কলকাতা জুড়ে শোধন করা জলে কলকাতা পুরসভার অন্য কাজ করা হবে। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শহরের তিনটি জায়গায় নিকাশির জল শোধনের প্লান্ট বসানো হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে।
প্লান্টে ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা থেকে পাম্প করে নোংরা জল তুলে জলাধারে মজুত রাখা হবে। সেখানে মেশিনের মাধ্যমে সেই জল শোধন করা হবে। প্লান্ট থেকেই পাইপলানের মাধ্যমে আশপাশের ফুটপাত কিংবা পার্কের গাছগাছালিতে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। পুরসভার উদ্যান, জঞ্জাল সাফাই এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আধিকারিকদের কথায়, পুরসভার গাড়ি, রাস্তা ধোয়া, ফুটপাত ও বুলেভার্ডের গাছে জল দেওয়া, বাতাসে জল স্প্রে করা সহ বাগান ও নার্সারি পরিচর্যায় রোজ ৩ লক্ষ লিটার জল লাগে। এই জলের পুরোটাই পরিশ্রুত পানীয় জল থেকেই খরচ করতে হয় কলকাতা পুরসভাকে। নতুন এই পদ্ধতি সফল হলে পানীয় জল সাশ্রয় করতে পারবে কলকাতা পুরসভা। সঙ্গে গ্রীষ্ম ও শীতের সময় যখন বৃষ্টি হয় না, তখনও পর্যাপ্ত পরিমাণ জল দিয়ে কলকাতা পুরসভার বাগানগুলির উপযুক্ত পরিচর্যা করাও সম্ভব হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy