পৃথিবীতে দিন দিন বেড়েই চলেছে বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা। গোটা বিশ্বে এই ধরনের বিরল রোগের সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। ভারতে এখনও পর্যন্ত সেই বিরল রোগের সংখ্যা প্রায় ৪৩০। কলকাতা শহর থেকে এই বিরল রোগের সন্ধান পেতে উদ্যোগ শুরু করছে কলকাতা পুরসভার। শনিবার কলকাতা পুরসভায় এক সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে উদ্যোগ শুরু করার কথা ঘোষণা করেছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
আরও পড়ুন:
অতীন বলেছেন, ‘‘শিশু বিরল রোগে আক্রান্ত হলে অনেক সময় অভিভাবকরা বুঝতে পারেন না। কিন্তু বাচ্চা যখন বড় হয়, তখন বোঝা যায়, সে বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছে। রোগ আগে ধরা পড়লে অনেক সময় তার চিকিৎসা আগে থেকেই করা সম্ভব হয়। তাই কলকাতায় এ বার আমরা এই বিরল রোগের খোঁজ করতে আশা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পাঠাব। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করেই আমরা বিরল রোগের সন্ধান করতে পারব।’’
আরও পড়ুন:
কলকাতা পুরসভার তরফে আপাতত ১০টি ওয়ার্ডে প্রাথমিক ভাবে পাইলট প্রোজেক্ট চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র। ধীরে ধীরে এই প্রক্রিয়া শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডেই চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে। কলকাতা পুরসভার তরফে চিকিৎসক শুভব্রত কাঞ্জিকে এই উদ্যোগের নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হবে। ডুশিন মাসকুলার ডিসট্রফি, প্রেডার উইলি সিন্ড্রোম ইত্যাদি বিরল রোগের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়াতে এই নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেই পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন:
বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুর খোঁজ মিললে চিকিৎসা শুরু করা যাবে দ্রুত। এই উদ্দেশ্যে পিজি হাসপাতালে জেনেটিক টেস্টিং শুরু হয়েছে। কিন্তু এই টেস্টিংয়ের জন্য একত্রে ১২ জন শিশুর প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে এক জন অভিভাবক একা এলে তাকে দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করতে হয়। বিরল রোগে আক্রান্ত কারা, পুরসভার হাতে সে তালিকা থাকলে তাদের একত্রে এসএসকেএমে পাঠানো সম্ভব। সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন অর্গানাইজ়েশন ফর রেয়ার ডিজ়িজ় ইন্ডিয়ার কলকাতার কোঅর্ডিনেটর দীপাঞ্জনা দত্ত, ইন্ডিয়ান প্রেডার উইলি সিন্ড্রোম অ্যাসোসিয়েশনের শিখা মেথারামানি ও যুব তৃণমূল নেত্রী প্রিয়দর্শিনী ঘোষ বাওয়া। তাঁরা বিরল রোগ প্রসঙ্গে জনসেচতনা বৃদ্ধি করার ওপর জোর দিয়েছেন। এই রোগ দ্রুত শনাক্ত করা গেলে আক্রান্ত শিশুর আগামী জীবনের পথ চলা অনেক বেশি সহজ হবে বলেই মত প্রকাশ করেছেন তাঁরা।