—ফাইল চিত্র।
লক্ষ্যে পৌঁছনোর দোরগোড়ায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পূর্বমুখী সুড়ঙ্গ। তবে অন্তিম গন্তব্য শিয়ালদহ স্টেশনে ঢুকে পড়ার আগে মুখোমুখি হতে হচ্ছে জোড়া চ্যালেঞ্জের। বিদ্যাপতি সেতুর পাশাপাশি নিরাপদে পেরোতে হবে সেতুর নীচে থাকা ব্রিটিশ আমলে তৈরি ভূগর্ভস্থ ইটের নিকাশি নালাও (ব্রিক সুয়ার)। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সূত্রের খবর, বিদ্যাপতি সেতুর ঠিক নীচে রয়েছে প্রায় ৬ ফুট উঁচু এবং ৪ ফুট চওড়া ডিম্বাকৃতি ওই নিকাশি নালা। সেটি ১০০ বছরেরও বেশি পুরনো। রাজাবাজার এবং শ্যামবাজারের দিক থেকে আসা ওই নিকাশি কার্যত গিয়েছে উড়ালপুলের মাঝ বরাবর। সেটির যাতে ক্ষতি না হয়, তার জন্য উড়ালপুল নির্মাণের সময়ে আড়াআড়ি স্তম্ভ নির্মাণ না করে পাশাপাশি দু’টি স্তম্ভ তৈরি করতে হয়েছিল। যাতে জোড়া স্তম্ভের মাঝখান দিয়ে ওই নিকাশি যেতে পারে।
মাটির প্রায় ৪-৫ মিটার নীচে থাকা ওই নিকাশির সঙ্গে এসে মিশেছে বৌবাজারের দিক থেকে আসা আর একটি নিকাশি নালা। তার পরে দু’টি নিকাশি একযোগে গিয়েছে পামারবাজার পাম্পিং স্টেশনের দিকে। বৌবাজারের দিক থেকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ আসার সময়ে সেটি ক্রমশ মাটির উপরে উঠে এসেছে। শিয়ালদহ এবং ফুলবাগান স্টেশন পেরিয়ে শেষ হচ্ছে ওই সুড়ঙ্গ। তার পরের অংশ, অর্থাৎ সল্টলেক স্টেডিয়ামের দিকে মেট্রোপথ গিয়েছে মাটির উপর দিয়ে। সেই পথের সঙ্গে সাযুজ্য রাখতেই শিয়ালদহে সুড়ঙ্গ ক্রমশ উঠে এসেছে মাটির উপরে। বিদ্যাপতি সেতুর নীচে আন্ডারপাসের গা-ঘেঁষে শ্যামবাজারের দিকে একটি ৬০ ফুট স্প্যানের (সেতুর দু’টি অবলম্বনের মাঝের দূরত্ব) মাঝখান দিয়ে যাওয়ার কথা পূর্বমুখী সুড়ঙ্গের। ওই জায়গা দিয়ে যাওয়ার সময়ে ভূগর্ভস্থ নিকাশি থেকে সুড়ঙ্গের নিরাপদ দূরত্ব থাকাও জরুরি।
শুক্রবার সন্ধ্যার খবর, বিদ্যাপতি সেতুর পরিসরে প্রবেশ করেছে টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) ‘উর্বী’। সুড়ঙ্গ তৈরির পরিকল্পনা করার আগে পুরসভার নকশা দেখে নিকাশি এবং সেতুর স্তম্ভের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক বলেন, ‘‘খুব সাবধানে কাজ করতে হচ্ছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই উড়ালপুল এবং সংলগ্ন শিশির মার্কেটের একাংশ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’’
সুড়ঙ্গ নির্মাণের সময়ে বিপত্তি এড়াতে সেতুর গায়ে বসানো হয়েছে বিবিধ যন্ত্রপাতি। ক্র্যাক মিটার বা টিল্ট মিটার দিয়ে চলছে নজরদারি। সেতুতে যান চলাচল বন্ধ রাখা-সহ ওই পরিসর ঘিরে রাখার জন্য ৪০ জনের বিশেষ বাহিনী তৈরি করা হয়েছে। বিদ্যাপতি সেতুর পরিসরে ঢুকে পড়ার আগে দিনে ১৫ মিটার করে এগোচ্ছিল ‘উর্বী’। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘শেষ পর্বের কাজ কঠিন হলেও এখানে মাটির গুণগত মান বৌবাজারের তুলনায় অনেক ভাল। সেটাই ইতিবাচক দিক। সব ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আমরা সেতু অতিক্রম করতে পারব আশা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy