বর্ধমান আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতার ব্যক্তি। নিজস্ব চিত্র।
বর্ধমান আদালত চত্বর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার হলেন কলকাতার যুবক। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগাজ়িন উদ্ধার হয়েছে। তিন রাউন্ড গুলিও মিলেছে। ধৃতকে শনিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। সাত দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম শেখ রজ্জাক। কলকাতার ট্যাংরা থানার ডিসি দে লেনে তাঁর বাড়ি। শুক্রবার বিকেল ৪টে নাগাদ বর্ধমানে টাউন স্কুলের দিকে রাস্তায় একটি পান-বিড়ির দোকান থেকে সিগারেট কেনেন রজ্জাক। দাম মেটানোর সময় তাঁর পকেটে আগ্নেয়াস্ত্র দেখতে পান আদালতের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশকর্মী। তিনি বিষয়টি এক পুলিশ অফিসারকে জানান। এর পরেই তাঁকে ধরার চেষ্টা করেন বর্ধমান থানার এক পুলিশ অফিসার। রজ্জাকের সঙ্গে সেই পুলিশ অফিসারের বেশ কিছু ক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়। পরে কয়েক জন পুলিশকর্মী মিলে রেজ্জাকে কাবু করেন।
গোটা ঘটনার অস্ত্র আইনের ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে বর্ধমান থানা। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, গ্রেফতারের পর শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আদালত চত্বরে ঘোরাঘুরির উদ্দেশ্য জানার চেষ্টা করা হয়। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, তিনি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। ইতিমধ্যেই তাঁর ১০ বছর জেল খাটা হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত। জেলে থাকার সময় লুটপাটের মামলায় ধৃত অজয় দাস ও ফিরোজ খান নামে দুই দুষ্কৃতীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। বর্ধমানের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে একটি ডাকাতির মামলায় বিচার চলছে অজয় ও তাঁর সঙ্গীদের। ঘটনার দিন সেই মামলার শুনানি ছিল। অজয় ও ফিরোজের সঙ্গে দেখা করতেই আদালতে এসেছিলেন রজ্জাক। অজয়কে মুক্ত করার কোনও পরিকল্পনা রজ্জাকের ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শুক্রবার আদালত চত্বর থেকে একটি নম্বর প্লেট ছাড়া বাইক উদ্ধার হয়। সেটি রজ্জাকের কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy