যাত্রী ভোগান্তি পিছু ছড়ছে না—নিজস্ব চিত্র
ভাড়া বাড়ানো নিয়ে কোনও সরকারি নির্দেশিকা নেই। তা সত্ত্বেও বৃহত্তর কলকাতায় যেমন খুশি ভাড়া নেওয়ার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না যাত্রীরা। গত কয়েক দিন ধরেই বেসরকারি বাস এবং মিনিবাসে বাড়তি ভাড়া নেওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। অবশেষে আসরে নামল পরিবহণ দফতরের এনফোর্সমেন্ট উইং। কোন কোন রুটে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে, সোমবার তা খতিয়ে দেখছেন অফিসারেরা।
তবে এ দিনও যাত্রী ভোগান্তি পিছু ছড়ছে না। গত কয়েক দিনের তুলনায় সরকারি এবং বেসরকারি বাস বেশি সংখ্যায় নামানো হয়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যাত্রীর সংখ্যা। এ দিন থেকে খুলে গিয়েছে রেস্তরাঁ, শপিং মল, সিনেমা হলগুলি। ফলে আরও বেশি সংখ্যায় মানুষ রাস্তায় নেমেছেন।
এ দিন সকালে বেহালা থেকে বেলেঘাটা। গড়িয়াহাট-রাসবিহারী থেকে ডালনপ। বাসের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা রয়েছে হয়েছে। এমনকি, তাঁদের বেশি ভাড়াও দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। ঠিক কী পরিস্থিতি, তা খতিয়ে দেখতে এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের অফিসারেরা পার্ক স্ট্রিট, গড়িয়াহাট, ধর্মতলা, বালিগঞ্জ, ভবানীপুরে বাস-মিনিবাসে এ বিষয়ে কনডাক্টর এবং যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। বাসে স্যানিটাইজিংয়ের ব্যবস্থা আছে কি না, চালক-কনডাক্টরেরা নিয়ম মেনে বাস চালাচ্ছেন কি না, তা খতিয়ে দেখে পরিবহণ দফতরকে রিপোর্ট দেবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ১০০ শতাংশ হাজিরার পুর নির্দেশ, ক্ষোভ
এর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা ঠিক করা হবে বলে জানা গিয়েছে পরিবহণ দফতর সূত্রে। এ দিন সকালের দিকে তারাতলায় দীর্ঘক্ষণ যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে। অনেক বাস-মিনিবাসই এখন তারাতলা হয়ে হাইড রোড দিয়ে ধর্মতলার দিকে আসছে। কিছু বাস দুর্গাপুর সেতু হয়েও যাচ্ছে। কিন্তু এদিন বাস পেতে গিয়ে চরম নাকাল হতে হয়েছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। অন্য দিকে রাসবিহারী থেকে সল্টলেকে যেতেও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বেসরকারি শিল্পতালুকের কর্মচারীদের। ডানলপেও ছিল সেই চেনা দীর্ঘ লাইন।
আরও পড়ুন: সবাইকে বলছি, সাবধানের মার নেই
বেসরকারি বাস-মিনিবাসের সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়েছিল, সরকারি রেগুলেটারি কমিটি ভাড়া ঠিক করবে। তত ক্ষণ পর্যন্ত পুরনো ভাড়াই নেওয়া হবে। কিন্তু এর পরেও বাসমালিকদের একাংশ যেমন খুশি ভাড়া নিয়ে চলেছেন। তাঁদের যুক্তি, যত আসন, তত যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালাতে গেলে, যাত্রীদের সহযোগিতা দরকার। পুরনো ভাড়ায় বাস চালানো যাবে না। এ দিন সরকারি বাসের সংখ্যা এক ধাপ বাড়িয়ে এক হাজার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কলকাতার রাস্তায় ১৫০০-এর বেশি বাস-মিনিবাস নেমেছে। উল্লেখ্য, লকডাউনের আগে শহরে প্রায় সাড়ে সাত হাজারের কাছাকাছি বাস মিনিবাস চলত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy