প্রতীকী ছবি।
আগের বছরের তুলনায় ফল ভাল হয়েছে। কিন্তু তা-ও নিরাপত্তার নিরিখে প্রথম স্থান খুইয়েছে কলকাতা। তবে কলকাতা পুলিশের কর্তাদের কাছে ‘দ্বিতীয়’ হওয়াটাও সাফল্য বয়ে এনেছে। কারণ, ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড বুরো’ (এনসিআরবি)-র রিপোর্ট বলছে, ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮-য় সার্বিক ভাবে অপরাধ কমেছে কলকাতায়। খুন, ডাকাতি বা ধর্ষণের ঘটনা কমলেও নারীদের উপরে হওয়া অপরাধের সংখ্যা কিন্তু বেড়েছে।
‘নিরাপদতম’ শহরের বিচারে কলকাতাকে সামান্য ব্যবধানে টেক্কা দিয়েছে কোয়ম্বত্তূর। তারাই প্রথম হয়েছে। মাস কয়েক আগে বেরোনো ২০১৭ সালের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে প্রথম স্থানে ছিল কলকাতা।
কলকাতা অবশ্য কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন রয়েছে। মহিলাদের সঙ্গে ঘটা নানা অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে। গত বছরই শহরের রাজপথে নিগৃহীত হয়েছেন তরুণী মডেল। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বহু ঘটনায় অভিযোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে ‘নিষ্ক্রিয়তা’র অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে এনসিআরবি-র রিপোর্টে ভাল করলেও তা আত্মতুষ্টি বয়ে আনবে কি না, সে প্রশ্নও করছেন অনেকে।
আরও খবর: বন্ধ বিস্কুট কারখানা, কর্মহীন প্রায় দু’হাজার
এ শহরের ফলাফল বলছে, ২০১৬ সাল থেকেই ধীরে ধীরে অপরাধ কমাতে সক্ষম হয়েছে লালবাজার। ২০১৬ সালে কলকাতায় অপরাধের মোট সংখ্যা ছিল ২২৫১৯টি। পরের বছর তা কমে হয় ১৯৯২৫। ২০১৮ সালে তা হয়েছে ১৯৬৮২। তবে কলকাতার পরিসংখ্যান নিয়ে এনসিআরবি-তে ‘ধন্দ’ও রয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ (বিশেষ করে কলকাতা শহর), অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় ও সিকিমের অপরাধের পরিসংখ্যান চূড়ান্ত নয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের দাবি, বিষয়টি নিয়ে এ রাজ্যের কাছে একাধিক বার তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হলেও কোনও উত্তর মেলেনি। যদিও লালবাজার সূত্রের পাল্টা দাবি, তাদের পাঠানো পরিসংখ্যান নির্ভুল এবং সম্পূর্ণ।
আরও খবর: এক বছরে ৫০! অ্যাসিড-আক্রমণ সব চেয়ে বেশি এ রাজ্যেই
লালবাজার সূত্রের দাবি, ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে খুন, ডাকাতি, ধর্ষণের মতো অপরাধ কমেছে। সাম্প্রতিক যে সব ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, তা ২০১৯ সালের পরিসংখ্যানে ঠাঁই পেতে পারে। ২০১৭ সালের তুলনায় মহিলাদের উপরে হওয়া অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে ২০১টি। যার সিংহভাগই বধূ নির্যাতনের ঘটনা। বস্তুত, বধূ নির্যাতনের ঘটনায় দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে এ রাজ্য। তবে পুলিশকর্তাদের অনেকের দাবি, এ রাজ্যে মহিলাদের মধ্যে সচেতনতা বেশি হওয়ায় অভিযোগ জমাও পড়ে বেশি।
পুলিশকর্তাদের এ-ও দাবি, শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কোনও রকম গাফিলতি যে বরদাস্ত করা হবে না, সে কথা বাহিনীকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। নারীদের ও শহরের সার্বিক সুরক্ষার জন্য পুলিশি নজরদারি এবং সক্রিয়তার পাশাপাশি অ্যাপ-নির্ভর প্রযুক্তিরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। নাগরিকদের সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সক্রিয় লালবাজার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy