কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে পঞ্চায়েত ভোট করাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার পরামর্শ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। তবে, বাকি জায়গায় যাতে নির্বিঘ্নে পঞ্চায়েত ভোট হয়, তার জন্য রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের উপরেই নির্ভর করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর এ জন্য মৌখিক ভাবে লালবাজারের কাছে প্রায় ১২ হাজার পুলিশকর্মী চেয়েছে কমিশন।
সূত্রের খবর, শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট করানোর জন্য কলকাতা পুলিশের উপরেই ভরসা করছে কমিশন। তাই নির্বিঘ্নে ভোট করাতে ওই ১২ হাজার পুলিশকর্মীর মধ্যে ১০ হাজার কনস্টেবল এবং দেড় হাজার অফিসার চাওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের কাছে। তবে, লালবাজারের কর্তাদের একাংশ জানিয়েছেন, বর্তমানে বাহিনীতে মোট সদস্য-সংখ্যা প্রায় ২৩ হাজার। এর মধ্যে কনস্টেবলের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। তার মধ্যে থেকে ১০ হাজার কনস্টেবল জেলায় ভোটের কাজে চলে গেলে শহরের আইনশৃঙ্খলা থেকে যানশাসন, সর্বত্রই তার প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন ওই পুলিশকর্তারা।
পুলিশের এক কর্তা জানান, নির্বাচন কমিশনের চিঠি দেখে চূড়ান্ত করা হবে যে, কত সংখ্যক পুলিশকর্মীকে কলকাতা পুলিশের কোন ইউনিট থেকে তোলা হবে। তবে, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, ট্র্যাফিক বিভাগ থেকে বেশি সংখ্যক কর্মী তোলা হবে ভোটের জন্য। এর পরেই থাকবে কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন সশস্ত্র ব্যাটালিয়ন। এর আগে কলকাতা পুলিশ থেকে কর্মীরা গিয়েছেন জেলার ভোট করাতে। সেই সময়ে যে ভাবে অবস্থা সামাল দেওয়া হয়েছিল, এ বারও সেই একই পথ ধরা হবে। সূত্রের খবর, ট্র্যাফিক গার্ড থেকে ওই কর্মীদের তুলে নেওয়া হলে তাঁদের জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে ঘাটতি মেটানো হবে।
তবে পঞ্চায়েত ভোট করাতে কলকাতা পুলিশের বাহিনীর একটা বড় অংশ জেলায় চলে গেলে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কী ভাবে সামলানো হবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে পুলিশের একটি অংশ। কারণ, কলকাতা পুলিশ এলাকাতেও এ বার পঞ্চায়েত ভোট রয়েছে। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার মোট চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৯টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ৬৯টি বুথে ভোট হওয়ার কথা। তবে লালবাজারের কর্তারা জানিয়েছেন, সব কিছু মাথায় রেখেই জেলার ভোটের জন্য বাহিনী ছাড়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy