ফাইল চিত্র।
লাইসেন্স ফি বকেয়া থাকার কারণ কী এবং কী ভাবে তা মেটানো সম্ভব, তা নিয়ে সমীক্ষার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। প্রথম সমীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট লাইসেন্স দফতরে জমা পড়ল।
পুরসভার লাইসেন্স দফতরের ওই আধিকারিক জানান, লাইসেন্স রয়েছে এমন প্রায় সাড়ে চার হাজার ব্যবসায়ীকে নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। ধীরে ধীরে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাকি ব্যবসায়ীদের কাছেও যাওয়া হবে। পুরসভার নথিতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীর সংখ্যা প্রায় চার লক্ষ বলেও কর্তৃপক্ষ জানান।
সমীক্ষার হিসেব অনুযায়ী, ২০ শতাংশ ব্যবসা চলছে। বিভিন্ন কারণে প্রায় ৮০ শতাংশ ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পুজোর ছুটি শুরু হওয়ার আগে এই রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে বলেও তিনি জানান।
পুরসভা সূত্রের খবর, প্রথম সমীক্ষায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীর মধ্যে শুধু লাইসেন্স ফি সময় মতো না দেওয়ার জন্য জরিমানার অঙ্ক ছিল প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। জরিমানা এবং বকেয়া ফি বাবদ পুরসভার ৪২৭ কোটি টাকা প্রাপ্য ছিল। পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, আপাতত যে সমীক্ষা করা হয়েছে তাতে প্রাথমিক হিসেবে মোট বকেয়া অর্থের ২০ শতাংশ ফেরত পাওয়া যাবে। বাকি অর্থ কী ভাবে জোগাড় করা যায় সেই ব্যাপারে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
পুর কর্তৃপক্ষ জানান, লাইসেন্স ফি বকেয়া আছে কি না, পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের লাইসেন্স পরিদর্শকদের তা দেখতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে বকেয়া লাইসেন্স ফি-র অঙ্ক কত এবং তার কারণ জানাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পরেই পুরসভা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আপাতত প্রথম দফার সমীক্ষা শেষ হয়েছে। তবে এই সমীক্ষা চলবে।
পুর আধিকারিকেরা আগেই জানিয়েছিলেন, কিছু ক্ষেত্রে যাঁর নামে ব্যবসা রয়েছে, তাঁর মৃত্যুর পরে সেই ব্যবসা নবীকরণ করা হয়নি। অনেকেই এই লাইসেন্স ফি দেওয়ার রীতি সম্বন্ধেও ওয়াকিবহাল নন। পদ্ধতিগত জটিলতা থাকায় লাইসেন্স ফি দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হওয়ায় বকেয়া বেড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy