আলিপুর চিড়িয়াখানায় বসে রয়েছে বাঘ। — ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার দেড়শো বছরে পা দিল কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানা। জন্মদিন উপলক্ষে উপহার দেওয়া হল নতুন ফটক। কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছেন, সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে চলতি বছর চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে আরও কিছু প্রাণী। রয়েছে একাধিক পরিকল্পনাও।
চিড়িয়াখানার জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, আদি সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, কলকাতার পুরসভার বোরো ৯-এর চেয়ারপার্সন দেবলীনা বিশ্বাস। বিরবাহা জানিয়েছেন, রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিড়িয়াখানার কর্মীদের জন্য অক্টোবর থেকে বিমার ব্যবস্থা করার ঘোষণাও করেছেন বনমন্ত্রী।
১৮৭৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আলিপুরে তৈরি হয় চিড়িয়াখানা। অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, চিড়িয়াখানায় এখন প্রাণীর সংখ্যা প্রায় ২,০০০। বছরে প্রায় ৩৮ লক্ষ পর্যটক আসেন এখানে। ৬ মাসে আগে নতুন কয়েকটি প্রাণী আনা হয়েছে। তার মধ্যে চারটি মাউস ডিয়ার, মালায়ান টাপির রয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতের অন্য কোনও চিড়িয়াখানায় মালায়ান টাপির নেই।
সার্ধশতবর্ষে ভোলবদল হয়েছে প্রধান ফটকের। প্রায় দোতলা সমান উঁচু ফটকের শীর্ষে থাকছে হাতির মাথার প্রতিকৃতি। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গিয়েছে, সাপ এবং পাখিদের খাঁচা নিয়েও বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথরিটির সদস্য সম্পাদক সৌরভ চৌধুরী জানিয়েছেন, সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে সারা বছর ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি চলবে চিড়িয়াখানায়।
রাজ্য বন দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মনোজ আগরওয়াল জানান, দেশে ১৬৬টি চিড়িয়াখানা রয়েছে। তার মধ্যে সেন্ট্রাল জু অথরিটির তালিকায় চার নম্বরে রয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানা। দার্জিলিঙের চিড়িয়াখানা দেশে এক নম্বরে। শেষ কয়েক বছরে আলিপুর চিড়িয়াখানায় ৩৪-৩৫ লক্ষ দর্শক এসেছে। এ বার এক নম্বরে উঠে আসার চেষ্টা করছে এই চিড়িয়াখানা।
ফিরহাদ বলেন, ‘‘ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় আসতাম। বড় হয়ে মন খারাপ হলে আলিপুর চিড়িয়াখানায় চলে আসি। প্রকৃতিকে ভালবাসেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্যা কবলিত এলাকায় যাওয়ার কারণে তিনি আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন।’’
চিড়িয়াখানার বেশ কিছু প্রাণীকে দত্তক নিয়েছেন বিরবাহা। তিনি জানিয়েছেন, আগামী দিনে এখানে আরও নতুন পশু-পাখি আনা হবে। অক্টোবর থেকে কর্মীদের জন্য বিমার ব্যবস্থা করারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘বন্যার কারণে আজ মুখ্যমন্ত্রী এখানে আসতে পারেননি। তাঁকে বন দফতরের তরফে ধন্যবাদ জানাই। বাবা-মা ভালবেসে নাম দিয়েছিলেন বিরবাহা। এই নামের অর্থ জঙ্গলের ফুল। মুখ্যমন্ত্রী আমার নাম সম্পূর্ণ করেছেন।’’ তাঁর আরও আর্জি, ‘‘পশু-পাখিকে ছবি তোলার জন্য ভাল না বেসে সত্যি ভালবাসুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy