চলছে কালীঘাট সেতু পরীক্ষার কাজ।—ফাইল চিত্র
কালীঘাট সেতুর মাঝের অংশ ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হতে পারে। সম্প্রতি কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের করা স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্টে ওই সেতুর কয়েকটি সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরে ওই সেতুতে কী ভাবে কাজ হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন কর্তৃপক্ষ। তবে চেতলা লকগেট সেতু ভেঙে নতুন করে তৈরি করার প্রস্তাব ইতিমধ্যেই বিবেচিত হয়েছে।
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘শহরের সমস্ত সেতু এবং উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ চলছে। যেগুলির পরীক্ষা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে, তার পর্যালোচনা চলছে। কালীঘাট সেতু নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আপাতত চেতলা লকগেট সেতু খোলা। তবে ভারী যান চলাচল বন্ধ সেখানে। মাঝেরহাট সেতু চালুর পরে ওই লকগেট সেতু বন্ধ করে দিতে হবে। তার পরিবর্তে ওখানে নতুন সেতু তৈরি করতে হবে।’’
কেএমডিএ-র তরফে সেতু বিশেষজ্ঞদের যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে তার প্রাথমিক রিপোর্ট পর্যালোচনা করার পরে লকগেট সেতুটি নতুন করে তৈরির করার পক্ষেই সায় মিলেছে। যদি সেতুটি অন্য ভাবে মেরামতি করা সম্ভব হয়, তা হলে ওই বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে কি না সেই পরিকল্পনাও নিতে হতে পারে। কারণ, যে কোনও সেতু বা উড়ালপুল তৈরি করা
যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ।
কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, পুজোর ঠিক আগেই প্রথম পর্যায়ে শহরে যে আটটি সেতু এবং উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল তার মধ্যে কালীঘাট সেতু ছিল অন্যতম। এই সেতুর কাঠামো নিয়ে দফতরের আধিকারিকদের একাংশ সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁদের কথায়, ওই উড়ালপুলের স্তম্ভ মূলত টালি নালায় ডুবে রয়েছে। কিন্তু টালি নালার জলে অম্লের ভাগ বেশি থাকায় স্তম্ভের নিমজ্জিত অংশের স্বাস্থ্যের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে গিয়েছে। জলে অম্লের মাত্রা বেশি থাকায় ক্রমাগত স্তম্ভের সঙ্গে তার ঘর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্তম্ভ। এর জেরে সেতুর
পরিকাঠামো নড়বড়ে হওয়ার আশঙ্কা করছেন ইঞ্জিনিয়ারেরা।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, টালি নালার যে অংশে কালীঘাট সেতু রয়েছে, সেখানে জলের নমুনা দু’বার পরীক্ষা করা হয়েছে। দু’টি ক্ষেত্রেই ওই জলে অম্লের মাত্রা বেশি পাওয়া গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেতুর স্তম্ভ কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা নির্ধারণ করে শুধুমাত্র সেই স্তম্ভটি পরিবর্তনের জন্যও প্রস্তাব এসেছে। যদিও সেই প্রস্তাব কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গিয়েছে। পুরো রিপোর্ট দেখে সিদ্ধান্ত হবে। আপাতত কোনও ভারী যান ওই সেতুর উপর দিয়ে যাতে যেতে না পারে, তার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওই সেতুর মুখে হাইটবার বসানোর জন্য কেএমডিএ-র তরফে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy