—ফাইল চিত্র।
আগামী বছর কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। এবং তা হতে পারে এপ্রিল মাসের মধ্যে। এমনই আভাস মিলেছে সরকারি সূত্রে। তাই পূর্ণাঙ্গ বাজেটের পরিবর্তে ভোট অন অ্যাকাউন্ট হবে ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু সেই প্রস্তুতি নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে পুর প্রশাসন। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে নয়া বেতন কমিশন কার্যকর হবে। অর্থাৎ, কর্মীরা এখন যে বেতন পান, তার পরিমাণ বেড়ে যাবে। সেই টাকা মেটাতে হবে পুর প্রশাসনকে। যা বাড়তি ‘বোঝা’ বলেই মনে করা হচ্ছে। এ দিকে, বছর ঘুরলেও পুর পরিষেবাজনিত কোনও করের অঙ্ক বাড়ানোর উপায় নেই। কারণ, কর বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয় কেবল পূর্ণাঙ্গ বাজেটেই। ভোট অন অ্যাকাউন্টে কর বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া যায় না। স্বভাবতই পুরনো কর কাঠামো ধরেই আদায়ের কাজ করতে হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারির কোন তারিখে ভোট অন অ্যাকাউন্ট হবে, তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর মেয়র পরিষদের বৈঠকে। তার আগে পুরসভার ভাঁড়ারের হাল নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন পুর প্রশাসনের কর্তারা। যদিও তাঁদের একমাত্র আশা, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্বয়ং রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী। আর্থিক সঙ্কটে কলকাতা পুরসভাকে অক্সিজেন জুগিয়েছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এ বারও সেই ভরসাতেই রয়েছে পুর প্রশাসন।
পুরসভার এক আমলার বক্তব্য, প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হয় পুরসভায়। এ বার সম্পত্তি কর-সহ অন্যান্য কর আদায় কম হওয়ায় চিন্তা আরও বেড়েছে। তার সঙ্গে বেতন কমিশনের বাড়তি চাপ। আগামী ছ’মাসের জন্য ভোট অন অ্যাকাউন্ট পাশ করানো হবে। এর মধ্যে পুর ভোটের জন্য রয়েছে নানাবিধ উন্নয়নমূলক কাজকর্মও। গত ২০১৫ সালের ১৮ এপ্রিল পুর ভোট হয়েছিল। এ বার সেই তারিখের আগেই ভোট হয়ে যেতে পারে। সেটা মাথায় রেখেই পুরসভার কাজকর্ম চালানো নিয়ে চিন্তা বাড়ছে পুরকর্তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy