প্রতীকী ছবি।
অবসরপ্রাপ্ত কর্মী-আধিকারিকদের কাজে পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রে এমনিতেই বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কলকাতা পুরসভা। এ বার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী-আধিকারিকদের পুনর্নিয়োগের মেয়াদ এক বার শেষ হলে ফের তা বাড়ানো হবে কি না, খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি গঠন করল পুর প্রশাসন। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই কর্মী-আধিকারিকদের কাজের মানের উপরে ভিত্তি করেই তাঁদের পুনর্নিয়োগের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
পুর প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা এ বিষয়ে বলেন, ‘‘কারা প্রকৃত কাজের লোক, সে সম্পর্কে যাচাই করেই মেয়াদ বাড়ানো হবে। সে কারণেই কমিটি তৈরি হয়েছে।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, এমনিতেই ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে কাজে পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রে পুরসভার তরফে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কোনও অবস্থাতেই ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে অবসরপ্রাপ্তদের আর পুনর্নিয়োগ করা যাবে না বলে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। পুরসভা সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর সংখ্যা প্রায় দু’শো। তার মধ্যে ৬৫ বছরের বেশি বয়সি তিরিশ জনের মতো কর্মী বিভিন্ন দফতরের কাজে নিয়োজিত। অনেক দফতরই আবার নতুন করে অবসরপ্রাপ্তদের পুনর্নিয়োগের প্রস্তাব পাঠিয়ে রেখেছে। সেই পদ্ধতিতেই কড়াকড়ি করতে চাইছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সমস্ত দফতরেই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের চুক্তির ভিত্তিতে পুনর্নিয়োগ করা হচ্ছিল। দেখা গিয়েছে যে অনেক দফতরই এমন কর্মীদের কাজে পুনর্নিয়োগ করেছে যাঁরা শারীরিক ভাবে কর্মক্ষম নন। ফলে সে ক্ষেত্রে দফতরের কাজকর্মই ব্যাহত হয়ে পড়ছিল। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এমনিতেই পুরসভা বৃদ্ধাশ্রম হয়ে যাচ্ছে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলে। তার উপরে যদি নির্দিষ্ট নিয়ম ছাড়াই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পুনর্নিয়োগ চলতে থাকে, তা হলে পরিষেবার উপরে চাপ পড়বেই।’’
পুনর্নিয়োগ নিয়েও বিতর্ক রয়েছে পুর মহলের একাংশে। এক পুর কর্তার কথায়, ‘‘নতুনদেরও কাজের সুযোগ দিতে হবে। অবসরপ্রাপ্তরাই কাজ করে গেলে নতুন কর্মী-আধিকারিকেরা তৈরি হবেন কী ভাবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy