—প্রতীকী ছবি
সুদূর কেরল থেকে পাওনা টাকা নিতে আসা এক ব্যবসায়ীর সঙ্গীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল। অবশ্য অভিযোগ দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে উদ্ধার করেছে ইকো পার্ক থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ছয় ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে, নিউ টাউনের একটি শপিং মলের পিছনে।
পুলিশ সূত্রের খবর, কেরলের কোঝিকোড়ের বাসিন্দা আব্দুল সালামকে তাঁর পাওনা টাকা দেওয়ার নাম করে ডেকে এনেছিল অন্য এক ব্যক্তি। রাতে নিউ টাউনের এক শপিং মলের পিছনে দুই সঙ্গীকে নিয়ে আব্দুল সেই টাকা নিতে যান। অভিযোগ, সেখান থেকেই অপহরণ করা হয় আব্দুলের এক সঙ্গী, কেরলের বাসিন্দা মহম্মদ সিরাজকে। এর পরে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে আব্দুলদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কয়েক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে চাপ দিতে থাকে অপহরণকারীরা। তা না পেলে সিরাজকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।
খবর যায় পুলিশে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে পুলিশ জানতে পারে, একটি গাড়ি লাগাতার ঘুরে বেড়াচ্ছে। যার গতিবিধি সন্দেহজনক। গাড়িটির খোঁজ করা শুরু হয়। সেই গাড়িটি চিহ্নিত করে নারায়ণপুর থানা এলাকার একটি বাড়ি থেকে অপহরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিরাজকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ধৃত ছ’জনের নাম শেখ ফারদিন, গোলাম মোস্তাফা, মহম্মদ সইদ, বব, শানু এবং হাসান।
আব্দুল সালাম পুলিশের কাছে অভিযোগে জানান, তিনি মুসাম্মিল মোত্তেম্মল নামের এক ব্যক্তির কাছে টাকা পেতেন। বুধবার তাঁকে সেই টাকা দেবে বলে ওই শপিং মলের পিছনে ডাকে মুসাম্মিল। আব্দুল তাঁর তিন সঙ্গীকে নিয়ে সেখানে পৌঁছতেই একাধিক ব্যক্তি তাঁদের উপরে ঝাঁপিয়ে হামলা চালায়। এর পরে তাঁরই এক সঙ্গী সিরাজকে একটি গাড়িতে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। পরে দু’লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চায় অপহরণকারীরা। না দিলে সিরাজকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।
তদন্তে পুলিশ জেনেছে যে, কেরলের ওই বাসিন্দা আব্দুল এবং তাঁর সঙ্গীরা মুসাম্মিলের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা পেতেন। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছিল মুসাম্মিল। আরও বলা হয়, কলকাতায় এসে সেই টাকা ফেরত নিয়ে যেতে হবে। সেই মতো কলকাতায় আসেন আব্দুলরা।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা স্থানীয় বাসিন্দা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, অপহরণের কাজে লাগানো হয়েছিল ওই ছয় ধৃতকে।
তবে এই সব তথ্যও যাচাই করে দেখা হচ্ছে। কারণ, এর পিছনে আর অন্য রহস্য রয়েছে কি না, তা জানতে ধৃতদের আরও জেরা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy