ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগে অন্তর্বর্তী সিমেস্টারে পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন কর্তৃপক্ষ। মূল্যায়ন হবে ইউজিসির নির্দেশমাফিক। এর সঙ্গে সময়সীমা-বিতর্কের জেরে স্থগিতই করে দেওয়া হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা।
গত মাসে প্রথমে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী সিমেস্টারের পরীক্ষা নিতে হবে। পরে ইউজিসি জানায়, পরীক্ষা নয়, অন্তর্বর্তী সিমেস্টারের মূল্যায়ন করতে হবে আগের সিমেস্টারের ফল এবং বর্তমান সিমেস্টারের অন্তর্বর্তী মূল্যায়নের ফল ধরে। দু’রকম নির্দেশে বিভ্রান্তি ছড়ায়। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। তার পরেই যাদবপুর এই সিদ্ধান্ত নেয়। সূত্রের খবর, বিজ্ঞান বিভাগে কী হবে, তা নিয়ে বৈঠক ডাকা হচ্ছে।
অন্য দিকে, গত বছর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সিমেস্টার পরীক্ষাগুলি প্রায় ১২-২৪ ঘণ্টা ধরে দিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। তা নিয়ে এ বার শিক্ষকদের আপত্তি ওঠায় ঠিক হয়, সাড়ে চার ঘণ্টায় পরীক্ষা প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। কিন্তু একমত হয়নি বিভাগীয় ছাত্র সংসদ (ফেটসু)। বৃহস্পতিবার ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকে তাদের প্রতিনিধিরা জানান, দক্ষিণবঙ্গে সাম্প্রতিক বৃষ্টির জন্য সেখানকার পড়ুয়ারা সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা দিতে অসুবিধায় পড়বেন। এর পরেই কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
অভিযোগ উঠেছে, অনলাইন ওই বৈঠকে বিভাগীয় ডিনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ছাত্র-প্রতিনিধিরা। যা নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (জুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় শুক্রবার বলেন, ‘‘ডিনের সঙ্গে পড়ুয়ারা যে ভাষায় কথা বলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, তেমনটা চলতে থাকলে হয়তো ভবিষ্যতে শিক্ষকেরা পরীক্ষা পদ্ধতির মধ্যেই আর থাকবেন না।’’ ফেটসুর সভাপতি অরিত্র মজুমদারকে ফোন এবং মেসেজ করেও কথা বলা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy