জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে ওই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন স্মিতা।
২০১০ সালেই পণ্ডিতিয়া রোডের ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিয়েছেন। এমনটাই দাবি করেছেন স্মিতা ঝুনঝুনওয়ালার পরিবারের এক সদস্য। যদিও কাকে সেই ফ্ল্যাট বিক্রি করেছেন, তা যদিও তিনি বলেননি। অথচ আবাসনের গেট রক্ষীদের কাছে ওই ফ্ল্যাটের যে তথ্য রয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাটের মালিক এখনও স্মিতাই। সত্যিটা কী? খতিয়ে দেখছে ইডি।
জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে ওই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন স্মিতা। কেনার সময় নথিতে নিজের লি রোডের একটি ঠিকানা দিয়েছিলেন তিনি। সেই ঠিকানায় আনন্দবাজার অনলাইন পৌঁছয়। সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে সেখানে থাকেন না স্মিতারা। এর পর স্মিতার এক আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে আনন্দবাজার অনলাইন। তিনি অসুস্থ বলে জানিয়েছেন। এ-ও বলেন, ‘‘২০১০ সালে ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল।’’ কাদের বিক্রি করা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি। শুধু জানিয়েছেন, ডিপার্টমেন্টকে সব কথা খুলে বলবেন। ডিপার্টমেন্ট বলতে ইডির কথাই বোঝাতে চেয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
ওই ফ্ল্যাটের সঙ্গে অর্পিতার যোগসূত্র খুঁজতেই এখন মরিয়া ইডি। তাই মঙ্গলবারের পর আবার বৃহস্পতিবার দরজা ভেঙে পণ্ডিতিয়ার ওই ফোর্ট ওয়েসিস আবাসনের ফ্ল্যাটে ঢোকেন ইডির আধিকারিকরা। জল্পনা শুরু হয়, এ বার কি তবে ওই ফ্ল্যাট থেকেও মিলবে নগদ কোটি কোটি টাকা! যদিও ইডি মনে করছে, ওই ফ্ল্যাট থেকে মিলতে পারে জরুরি নথি, যা এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে সাহায্য করবে। মঙ্গলবারও তাদের একটি সূত্র এই কথাই জানিয়েছিল।
মঙ্গলবার ওই ফ্ল্যাটে পৌঁছেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁদের মতে, ওই ফ্ল্যাটের সঙ্গে যোগ রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার। কিন্তু দরজা ভাঙতে পারেননি। কারণ তাঁরা জেনেছিলেন, ফ্ল্যাটের মালিকের নাম স্মিতা ঝুনঝুনওয়ালা। স্মিতার সঙ্গে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। বিষয়টি স্থানীয় রবীন্দ্র সরোবর থানায় জানিয়ে ফ্ল্যাটটি ‘সিল’ করে চলে যায় ইডি। বৃহস্পতিবার স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীকে সঙ্গে করেই ফ্ল্যাটে হাজির হয়েছে তারা। তল্লাশির পর কিছু না পেয়ে বেরিয়েও গিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy